উত্তরপাড়ায় প্রস্তাবিত ফিল্ম সিটির জমি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু করবে হুগলি জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে শুক্রবার কলকাতার পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ উত্তরপাড়ায় গঙ্গা পাড়ের ওই ফিল্ম সিটির জমি দেখতে যান।
প্রসঙ্গত, উত্তরপাড়া পুর এলাকায় গঙ্গার পাড়ে কলকাতা পুরসভার অন্তত ৪০০ বিঘা জমি রয়েছে। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরেই বর্তমান সরকার ঘোষণা করে, সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে উত্তরপাড়ায় গঙ্গার পাড়ে একটি ফিল্ম সিটি তৈরি হবে। এরপরই একাধিক বার কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় উত্তরপাড়ায় যান। তাঁর সঙ্গে চলচিত্র জগতের বিশিষ্ট অভিনেতা-পরিচালকেরাও সেখানে যান জমি পরিদর্শনে। মুখ্যমন্ত্রী ওই ফিল্ম সিটির উদ্বোধন করবেন বলে প্রাথমিক ভাবে দিন-ক্ষণও ঠিক হয়ে যায়। পরে অবশ্য বিষয়টি তখনকার মতো পিছিয়ে যায়।
এ দিন ওই জমিটি পুর-কমিশনার দেখার পরেই প্রশাসনের তরফে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জমিটি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে প্রশাসন জমিটি চিহ্নিত করবে। |
প্রস্তাবিত ফিল্মসিটির জমি।—নিজস্ব চিত্র। |
ওই জমিতে যে সব বসবাসকারী রয়েছেন, তাঁদের দিক থেকে কোনও দাবি-দাওয়া উঠলে বিষয়টি দেখার জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ওই কমিটিতে রয়েছেন শ্রীরামপুরের এসডিও জয়সি দাসগুপ্ত, এসডিপিও রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, উত্তরপাড়া থানার আইসি প্রিয়ব্রত বক্সি এবং কলকাতা ও উত্তরপাড়া পুরসভার পুর প্রতিনিধিরা।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, ওই জমিটির দখল নিতে পুরসভার আপাতত আর কোনও বাধা নেই। কারণ, জমিটি নিয়ে আদালতে যে মামলা ছিল, সেই মামলায় কলকাতা পুরসভা জিতে গিয়েছে।
ওই জমিটিতে ১৫টি ইটভাটা, রাজনৈতিক দলের দু’টি অফিস এবং দু’টি গ্যারাজ আছে। সব মিলিয়ে কর্মরত যে সব শ্রমিক কাজ হারাবেন, মানবিক কারণে তাঁদের ক্ষতির বিষয়টি প্রশাসন বিবেচনা করবে। প্রাথমিক ভাবে এই কাজে তৈরি কমিটি বিষয়টি নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করবে। তারপর সেই রিপোর্ট মহকুমাশাসকের মাধ্যমে প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে দেওয়া হবে।
খলিল আহমেদ অবশ্য বলেন, “পুর সিদ্ধান্তই একেবারে প্রশাসনিক স্তরে নেওয়া হয়েছে। তাই এই বিষয়ে বিশদে সংবাদমাধ্যমের কাছে বিশেষ কিছু বলার নেই।” এ দিন উত্তরপাড়া পুরসভার তরফে চেয়ারপার্সন অদিতি কুণ্ডু, মেয়র-ইন-কাউন্সিল দিলীপ যাদব এবং পুরসভার অন্যান্য প্রতিনিধিরা কলকাতার পুর-কমিশনারের সঙ্গে ফিল্ম সিটির জায়গাটি ঘুরে দেখেন। |