|
|
|
|
ঝাড়খণ্ড বন্ধের ডাক পার্শ্ব-শিক্ষকদের |
সঞ্জয় চক্রবর্তী • রাঁচি |
চরম পথ নিলেন ঝাড়খণ্ডের পার্শ্ব-শিক্ষকরা। কিংবা বলা ভাল চরম পথকেও ছাপিয়ে গিয়ে অতি-চরম পথ নিলেন তাঁরা। সাধারণ ভাবে সরকারি বা বেসরকারি কর্মীরা তাদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে ধর্না, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ মিছিলই করে। তাদের হাতে চরম অস্ত্র ‘ধর্মঘট’। কখনও তা প্রতীকি এক দিনের, কখনও বা লাগাতার। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের পার্শ্ব-শিক্ষকরা এই পথে না গিয়ে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন দেশের চলতি রাজনীতির প্রতিবাদের পথ, ‘বন্ধ’কেই! তাঁরা আগামী কাল, শনিবার রাজ্যজোড়া বন্ধের ডাক দিয়েছেন!
বেতন বৃদ্ধি, সার্ভিস রুল চালু-সহ একগুচ্ছ দাবিতে রাজ্যে ২৪ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছেন ঝাড়খণ্ড প্রদেশ পাশ্বর্-শিক্ষক অ্যাসোসিয়েশন। দাবি আদায়ে তাঁরা সরকার পরিচালিত সমস্ত প্রাথমিক স্কুলভবনে তালা ঝোলানোর কর্মসূচিও হাতে নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ওই শিক্ষক সংগঠনের তরফে কয়েক হাজার প্রাথমিক স্কুলের দরজায় তালা লাগিয়েও দেওয়া হয়েছে। যার ফলে রাজ্যের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন প্রক্রিয়াটাই বন্ধ হওয়ার মুখে। রাজ্য সরকার এবং অ্যাসোসিয়েশন, উভয় পক্ষের অনড় এবং অনমনীয় মনোভাবেই পরিস্থিতি ক্রমে জটিল থেকে জটিলতর হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
বেতন বৃদ্ধি, সার্ভিস রুল চালু-সহ কাজের ক্ষেত্রে সরকারি শিক্ষকদের সমান সুযোগ-সুবিধার দাবিতে গত ২৭ অগস্ট থেকে রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতি পালন করছেন পার্শ্ব শিক্ষকরা। ঝাড়খণ্ড প্রদেশ পাশ্বর্-শিক্ষক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিনোদ তিওয়ারি জানিয়েছেন, রাজ্যের ২৪ টি জেলায় সরকারি প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পার্শ্ব শিক্ষকের সংখ্যা ৮৬ হাজারেরও বেশি। রাজ্যের মোট স্কুল শিক্ষকদের মধ্যে প্রায় ৭৩% পার্শ্ব-শিক্ষক। অথচ তাঁদের কোনও সার্ভিস রুল নেই। ছুটি-সহ অন্য সুবিধা এবং বেতনও সরকারি স্কুল শিক্ষকদের তুলনায় অনেক কম। রাজ্যের শিক্ষা দফতরে বিষয়টি অনেকবার জানানো হয়েছে। ‘প্যারা-টিচারর্স বিল’ এনে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু কিছুই হয়নি।
স্কুল ভবনে তালা লাগানোর ব্যাপারে বিনোদবাবুর সাফ কথা “আমাদের হরতাল আন্দোলন চলছে। তাই স্কুল ভবনে তালা লাগানো হচ্ছে।” সংগঠনের নেতা সঞ্জয় দুবে অবশ্য বিষয়টিকে অন্য ভাবে ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘অধিকাংশ প্রাথমিক স্কুল ভবনেরই চাবি থাকে পার্শ্ব-শিক্ষকদের কাছে। ধর্মঘট আন্দোলন চলায় স্কুলের চাবিগুলি পার্শ্ব শিক্ষকদের কাছেই রয়ে গিয়েছে। সেই তালাই এখনও ঝুলছে।” |
|
|
|
|
|