|
|
|
|
দর বাড়ল জেনেই সমর্থন বজায় রাখলেন মুলায়ম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
নীতিগত ভাবে ইউপিএ সরকারের সঙ্গে নানা মতপার্থক্য থাকলেও ‘সাম্প্রদায়িক’ বিজেপিকে রোখার প্রশ্নে আপাতত সরকার থেকে সমর্থন তুলছে না সমাজবাদী পার্টি।
তৃণমূলের মতোই খুচরো বিক্রয়ে বিদেশি লগ্নি নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে আপত্তি রয়েছে মুলায়মের। গত বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দলের ডাকা ভারত বন্ধে সরকারকে এই নীতির প্রশ্নে আক্রমণও করেন সপা নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মতো চরম সিদ্ধান্ত
নেওয়ার পর থেকেই সমাজবাদী পার্টি কী অবস্থান নেয়, তা নিয়ে জল্পনা ছিল। সূত্রের খবর, গত কাল বৈঠকে বসেন মুলায়ম সিংহ যাদব ও সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব অহমেদ পটেল। তার পরেই আজ মুলায়ম জানিয়ে দিলেন, “এখনই সমর্থন প্রত্যাহার করা হবে না। ২০১৪ পর্যন্ত দল সরকারকে সমর্থন জানাবে।” তৃণমূলের সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার দিনেই মুলায়মের ইউপি-তে থাকার ঘোষণায় আপাতত স্বস্তি কংগ্রেসে।
তবে সরকারকে সমর্থন জানালেও সপা ইউপিএ-র নীতির বিরোধিতা করা থেকে পিছপা হবে না বলে আজ জানিয়েছেন মুলায়ম। তাঁর যুক্তি, সমর্থন তুলে সরকার ফেলে দিলে বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক শক্তি তার ফায়দা লুটবে। তাই দল সরকার বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে দল চুপ করে থাকবে।
রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে উত্তরপ্রদেশের রাজ্য-রাজনীতির বাধ্যবাধকতাও দায়ী। সপা মনে করছে, এই মুহূর্তে তারা ইউপিএ থেকে বেরিয়ে এলে মায়াবতী লাভবান হবেন। তাই দলের একাংশ এখনই ইউপিএ থেকে সমর্থন তুলে অকাল নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করলেও মুলায়ম সেই রাস্তায় হাঁটতে রাজি হননি। মুলায়ম-ঘনিষ্ঠ শিবিরের দাবি, তৃণমূল সমর্থন তুলে নেওয়ার ঘোষণা করায় সরকার বাঁচাতে আরও বেশি করে সপা’র সমর্থন প্রয়োজন হবে কংগ্রেসের। এতে ভবিষ্যতে রাজ্যের স্বার্থে দর কষাকষির ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে সপা’র।
তাছাড়া সপা শিবির মনে করছে একাধিক দুর্নীতির ঘটনা, মূল্যবৃদ্ধি, খুচরো বিক্রয়ে বিদেশি লগ্নি ইত্যাদি নানা ধরনের জনবিরোধী পদক্ষেপে দ্রুত জনসমর্থন হারাচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিজেপি তো সাংগঠনিক ভাবেই দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের আগামী দিনে ক্ষমতায় ফিরে আসা কঠিন। তাই আজ সরকারকে সমর্থন করার পাশাপাশি কেন্দ্রে বিকল্প তৃতীয় ফ্রন্টের সম্ভাবনাও উস্কে রাখলেন মুলায়ম। তাঁর কথায়, “আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে শক্তিশালী তৃতীয় ফ্রন্ট বিকল্প হিসাবে উঠে আসবে। ইউপিএ বা এনডিএ-র সরকার গঠনে কোনও ভূমিকাই থাকবে না।” |
|
|
|
|
|