|
|
|
|
কয়লা কেলেঙ্কারি |
পিএসি-তে রিপোর্টের ব্যাখ্যা দিলেন সিএজি |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) রিপোর্ট পেশের বিষয়ে আপত্তি উঠল পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে (পিএসি)।
নিলামের মাধ্যমে কয়লাখনি বণ্টন না করায় কেন্দ্রের ১ লক্ষ ৮৫ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানিয়েছে সিএজি। সেই রিপোর্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আজ পিএসি-তে নিজেদের রিপোর্ট ব্যাখ্যা করেন সিএজি বিনোদ রাই ও তাঁর সহযোগীরা। কিন্তু, তার আগে এই রিপোর্ট পেশ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কমিটির কয়েক জন কংগ্রেস সদস্য। তাঁদের বক্তব্য, রিপোর্টের বেশির ভাগ অংশই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাই এই রিপোর্ট কমিটিতে পেশ করার প্রয়োজন আছে কি না তা বিবেচনা করা উচিত। তাঁদের আপত্তি অবশ্য উড়িয়ে দেন পিএসি-র চেয়ারম্যান ও বিজেপি নেতা মুরলীমনোহর জোশী।
পিএসি-র সচিবালয় থেকে কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ‘ক্লিপিংস’ পাঠানো হয়েছিল সদস্যদের। এই বিষয়টি নিয়েও আপত্তি জানান কয়েক জন কংগ্রেস সদস্য। তাঁদের দাবি, বেশির ভাগ রিপোর্টেই সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে। কিন্তু, সেগুলিতে প্রকৃত অবস্থা প্রতিফলিত হয়নি। তাই সেগুলি সদস্যদের কাছে পাঠানো ঠিক হয়নি। আজ অবশ্য ‘ক্লিপিংস’গুলি ফেরত নিয়েছেন জোশী। তিনি জানিয়েছেন, সহজ ভাষায় কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে খবর সদস্যদের জানানোর জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল।
নিজেদের রিপোর্টে কোনও ভুল নেই বলে সাফ জানিয়েছেন সিএজি বিনোদ রাই। যে পদ্ধতিতে তাঁরা হিসেব করেছেন তাও আজ ব্যাখ্যা করেছেন রাই। তাঁর দাবি, যে কোনও ভাবে পরীক্ষা করলেই এই হিসেবের সত্যতা প্রমাণিত হবে। রাইয়ের বক্তব্যের মধ্যেই সোচ্চার হন কংগ্রেস সদস্যরা। তাঁরা বলেন, আর্থিক সমস্যার জন্য সিএজি-র রিপোর্টও আংশিক ভাবে দায়ী। এই রিপোর্ট সংসদে পেশ হওয়ার পরেই টাকার দাম পড়ে গিয়েছে। কমে গিয়েছে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগও। তাঁদের প্রশ্ন, সিএজি ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে কী হয়েছে তা নিয়েই শুধু মাথা ঘামাচ্ছে কেন। ১৯৯৩ সাল থেকে পুরো পরিস্থিতির বিচার করা উচিত।
রাই সাফ জানিয়েছেন, কয়লা কেলেঙ্কারিতে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা যে ভাবে লাভবান হয়েছে তা জানানো সিএজি-র কর্তব্য। সরকারি ক্ষতির খোঁজ করাই সিএজি-র কাজ। তাই এই বিষয়গুলি সিএজি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে একটি সাক্ষাৎকারে রাই জানিয়েছেন, যে কোনও ক্ষেত্রে অডিট করার মতো দক্ষতা সিএজি-র অডিটরদের আছে। হিসেবের যে সব পদ্ধতি সিএজি ব্যবহার করে তা সারা বিশ্বেই ব্যবহৃত হয়। |
|
|
|
|
|