সকালে বাড়ির সামনে থেকেই নিখোঁজ হয়েছিল বছর দু’য়েকের শিশুটি। ঘণ্টা দুই পরে তার অচৈতন্য দেহ মিলল এলাকারই একটি প্লাস্টিকের গাদা থেকে। পরে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মহম্মদ রিজওয়ান আলি (২) নামে ওই শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে এন্টালির রাধানাথ চৌধুরী রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, রাত পর্যন্ত ওই মৃত্যু নিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও কাদের নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি ওখানে প্লাস্টিকের ব্যবসা চালান বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
পুলিশ জানায়, রাধানাথ চৌধুরী রোডে শিয়ালদহ ১২ নম্বর চটকলের শ্রমিক আবাসনে সপরিবার থাকেন মহম্মদ জামশেদ আলি। এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ তাঁর ছোট ছেলে রিজওয়ান নিখোঁজ হয়ে যায়। তার পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। বেলা ১১টা নাগাদ শ্রমিক কলোনির এক প্রান্তে প্লাস্টিকের গাদায় শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখেন কয়েক জন যুবক। জামশেদ জানিয়েছেন, রিজওয়ান চিৎ হয়ে পড়ে ছিল। তার মুখের সামনের অংশে রক্ত জমাট বেঁধেছিল। চোখ দু’টি ঠিকরে বেরিয়ে এসেছিল। এর পরেই ছেলেকে নিয়ে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান জামশেদ ও তাঁর স্ত্রী আসমানা। পুলিশ জানিয়েছে, অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ায় এ দিনই শিশুটির মৃতদেহের ময়না-তদন্ত করা হয়েছে। |
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই কলোনির এবং তার আশপাশের কয়েক জন যুবক প্লাস্টিকের ব্যবসা চালান। বিরাট বিরাট বস্তা সেখানে ডাঁই করা থাকে। বাসিন্দাদের সন্দেহ, বড় আকারের কোনও বস্তা চাপা পড়েই মারা গিয়েছে শিশুটি। যদিও ওই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত যুবকদের দাবি, প্লাস্টিকের বস্তা চাপা পড়ে রিজওয়ান মারা যায়নি। কারণ, সে চিৎ হয়ে নয়, প্লাস্টিকের গাদার উপরে উপুড় হয়ে পড়ে ছিল। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, শিশুটি প্লাস্টিকের গাদায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকলে প্রথমেই খোঁজাখুঁজির সময়ে মিলল না কেন? কোনও বস্তা গায়ে না পড়লে ওখানে সে এল কী ভাবে, সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। |