একশো দিনের কাজে বেতন নিয়ে বচসার জেরে এক অন্তঃসত্ত্বা বধূকে নিগ্রহ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধান এবং তাঁর এক সঙ্গীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ময়ূরেশ্বরের ষাটপলশা পঞ্চায়েতের ছোটডিবুর গ্রামের। পঞ্চায়েত প্রধান অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জুলাই মাসে ওই পঞ্চায়েতের ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে একটি পুকুর কাটা হয়। সেখানে কাজ করেছিলেন ছোটডিবুর গ্রামের জয়দেব দাস ও তাঁর দাদা কল্যাণ দাস। ১০৫ টাকা হারে ২১ দিন কাজ করার জন্য তাঁদের বাবা বামাপদ দাসের ব্যাঙ্কের পাশ বইয়ে মজুরির টাকা জমাও হয়। জয়দেববাবুর অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার ঘটনার দিন আমরা সবাই মাঠে ছিলাম। সেই পঞ্চায়েত প্রধান চারজন সঙ্গীকে নিয়ে মদ্যপ অবস্থায় আমাদের বাড়িতে হাজির হন। আমার স্ত্রীকে ওই টাকা থেকে তাঁদের ৭৩৫ টাকা ফেরত দিতে বলেন। স্ত্রী এ ব্যাপারে কিছু জানি না বলতে গালিগালাজ করা হয়। চুর ধরে টানাহ্যাঁচড়া করেন।” তাঁর বৃদ্ধা মাকেও মারধর করার পাশাপাশি গ্রাম থেকে তুলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
সিপিএম পরিচালিত ষাটপলশা পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জয় ভল্লা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বিমান মণ্ডল নামে এক জবকার্ডধারীর সাত দিনের বেতনের টাকা ভুল করে বামাপদ দাসের পাশ বইয়ে জমা পড়ে যায়। আমি বৃহস্পতিবার বামাপদবাবুর বাড়িতে গিয়ে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “তাতেই তাঁরা আমার উপরে চড়াও হন। জামার পকেট ছিঁড়ে দেন। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের বিডিও বাবুলাল মাহাতো বলেন, “এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। খোঁজ না নিয়ে কিছু বলতে পারব না।” পুলিশ জানায়, প্রধান-সহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |