অটোর মধ্যে এক মহিলা যাত্রীর শ্লীলতাহানি অভিযোগে আরপিএফ কর্মী-সহ পাঁচ মদ্যপ যাত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে তারাপীঠ-রামপুরহাট রাস্তায় আটলা মোড়ের কাছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৪১ ও ৩৫৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত আরপিএফ কর্মীর নাম সোনা মালিক। বাড়ি হুগলির পান্ডুয়া থানার গোকুলডাঙা গ্রামে। তিনি আরপিএফের শিয়ালদহ শাখার কর্মী। অন্য ধৃতেরা হলেন হুগলি গোকুলডাঙারই বাপন ঘোষ, প্রশান্ত ঘোড়ুই, নিমো থানার সুব্রত ঘোষ এবং বর্ধমানের মেমারি থানার পূর্ণ গ্রামের অরূপ ঘোষ। শুক্রবার রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা তারাপীঠে পুজো দিয়ে রামপুরহাট স্টেশনে যাওয়ার জন্য অটোতে চড়েছিল। একই অটোতে তারাপীঠ থেকে রামপুরহাটে বাড়ি ফিরছিলেন ওই মহিলা যাত্রী। ওই সময়ই অভিযুক্তেরা তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন বলে অভিযোগ। ওই মহিলা বলেন, “চালকের পাশের সিটে বসেছিলাম। প্রথম থেকেই আরপিএফের পোশাকে থাকা ওই কর্মী-সহ পাঁচজন মদ খেয়ে অশ্লীল আচরণ করছিলেন। দ্বারকা সেতু পার হতেই তারা অটো চালককে অটো থামিয়ে মদ কিনতে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন।” তাঁর অভিযোগ, ওই মদ্যপ যাত্রীরা চালককে অটো থামাতে বাধ্য করেন। তিনি গাড়ি থেকে নেমে প্রতিবাদ করলে তারা তখন তার সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। নিগৃহীতার দাবি, “সামনেই স্থানীয় এক যুবককে দেখতে পেয়ে সাহায্য চাই। তিনি এগিয়ে এলে তাঁকে ওই পাঁচজন মিলে মারধর করে। এরপরেই আমি মোবাইলে তারাপীঠ পুলিশ ফাঁড়িতে ফোন করে সব জানাই।” ততক্ষণে ওই অটোতে চেপেই চম্পট দেয় তারা।
খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহিলাকে উদ্ধার করেন। পরে অটোর পেছনে ধাওয়া করে রামপুরহাট স্টেশনে ঢোকার আগে ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত আরপিএফ কর্মী অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। |