প্রসেনজিৎ যেখানে শ্যুটিং করেছেন,
সেখানে যেতে পারেন আপনিও
আইসল্যান্ডে হনুমান ডট কমের শ্যুটিং শেষ। কিন্তু কী আছে অকল্পনীয় সুন্দর সেই দেশে?
যেতে কী করে হয়? খরচই বা কত? ঘুরে এসে টিপস দিচ্ছেন ইন্দ্রনীল রায়
আইসল্যান্ড নিউজ
আইসল্যান্ডের এই গ্লেসিয়ারে শ্যুটিং
হয়েছিল অসম্ভব ঝুঁকি
নিয়ে।
হোটেলের ঘরে
ড্রেসিং টেবিলের সামনের দৃশ্য।
হনুমান চালিসাটা ফিল্মেও ব্যবহার হয়েছে।
“এই বরফের উপর হাঁটাটাই দুষ্কর। তার ওপর মাঝখানে হালকা বরফ।
যদি সেই বরফ আপনার
ওজন না নিতে পারে তা হলেই সর্বনাশ। মিনিটের মধ্যে তলিয়ে যাবেন সাব-জিরো
তাপমাত্রায়।
সেখানেও চুটিয়ে শ্যুটিং করছি
আমরা।” বলছিলেন বুম্বাদা।
• আইসল্যান্ডের জন্য আলাদা ভিসা লাগে না। শেনজেন ভিসা থাকলেই আপনি আইসল্যান্ড পৌঁছে যেতে পারবেন। আইসল্যান্ডে ঢোকার কোনও আলাদা ইমিগ্রেশন নেই।
• কলকাতা থেকে আপনাকে ফ্র্যাংকফুর্ট কি মাদ্রিদ কি ডাসেলডর্ফ পৌঁছাতে হবে। সেখান থেকে আইসল্যান্ড এয়ার-এর ফ্লাইটে সাড়ে তিন ঘন্টায় পৌঁছে যাবেন আইসল্যান্ডের রাজধানী, রিকিয়াভিক। কলকাতা থেকে একজনের রিটার্ন এয়ার টিকিটের ভাড়া এক লাখ দশ হাজার টাকা।
•এমিরেট্সের ফ্লাইটে গেলে দুবাই থেকে কানেকশন নিতে পারেন। না হলে কলকাতা থেকে দিল্লি কি মুম্বই হয়ে যেতে হবে।
• আইসল্যান্ড পৃথিবীর অন্যতম ব্যয়বহুল জায়গা। তাই খরচ কিন্তু বেশির দিকে।
• আইসল্যান্ডে প্রচুর হোটেল নেই। আগে থেকে বুক করে আপনাকে যেতেই হবে। এক দিনের হোটেল খরচ ৭০০০ টাকা।
•আইসল্যান্ডে খাবারে প্রচুর ভ্যারাইটি পাবেন না। এমনিতেই বেকড্ ফিশ কি ফিশ সুপ হল ডেলি ডায়েট। সাথে ক্রোয়েসাঁ আর পাঁউরুটি। এটাই প্রধান খাবার।
•আইসল্যান্ডে দু’একটা ভারতীয় এবং পাকিস্তানি রেস্তোরাঁ আছে। কিন্তু সেগুলো অ্যাভয়েড করাই ভাল। খাবারও বাজে, দামও অনেক।
• আইসল্যান্ডে ২০-২৫ জন ভারতীয় থাকেন। ভারতীয় দূতাবাস থেকে তাঁদের টেলিফোন নম্বর পেতে পারেন। কোনও দরকার পড়লেই ভারতীয় দূতাবাসের দ্বারস্থ হতে পারেন।
• প্রচুর শীতের জামা-কাপড় যে নেবেন তা বলাই বাহুল্য।
•
আইসল্যান্ডে গিয়ে কিডনি বাঁচানোর জন্য হট প্যাড কিনে নেবেন। যা কিনা পিঠের নীচে দু’পাশে লাগিয়ে তার উপর জামা পরতে হয়। “কিডনি প্যাড না থাকলে আইসল্যান্ডে টিকতে পারবেন না। শ্যুটিংয়ের সময় সর্বক্ষণ আমরা কিডনি প্যাড লাগিয়ে ছিলাম কারণ লোকালদের মতে কিডনি যদি গরম না থাকে, আপনার জীবন নিয়েও টানাটানি হতে পারে ওই ঠান্ডায়,” বললেন প্রসেনজিৎ।
সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকেই রাতের আকাশে
এই
মায়াবী অরোরা বোরিয়ালিস দেখা যায়।
আইসল্যান্ডের
এটা সবচেয়ে বড় আকর্ষণ
আইসল্যান্ডের সি-বিচে একটা অদ্ভুত জিনিস
দেখবেন। আগ্নেয়গিরি প্রবণ অঞ্চল বলে পুরো
সমুদ্র সৈকতের বালির রং কুচকুচে কালো।
মেনল্যান্ড ইওরোপ থেকে প্লেনে করে
আইসল্যান্ড
যাওয়ার পথে
এ রকম নানা আগ্নেয়গিরি
দেখা যায়। এর বেশির ভাগই জীবন্ত।
এই জায়গাটির নাম ‘এন্ড অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’।
এখান থেকেই
৬৬ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ
শুরু। সামনে আর্টিক মহাসাগর।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.