গত ফেব্রুয়ারিতে সিপিএম নেতা প্রদীপ তা ও কমল গায়েন খুনের দিনে যিনি মার খেয়েছিলেন, সেই রূপকুমার গুপ্তকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পঞ্চায়েত তথা দলেরই এক সদস্যের স্ত্রীকে তিনি ধর্ষণ করেছেন। যদিও সিপিএমের জেলা নেতৃত্বের দাবি, এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে।
শুক্রবার বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “অভিযোগকারিণীর বাড়ি বর্ধমান থানার মির্জাপুরে। এ দিন তিনি থানায় এসে অভিযোগ করেন, গত ২০ জুলাই রূপকুমারবাবু ধর্ষণ তাঁকে করেছেন। মোবাইলে কিছু আপত্তিকর ছবিও তুলে নেন। হুমকি দেন, এই ব্যাপারে মুখ খুললে ওই ছবি সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হবে।”
পুলিশ জানায়, অভিযোগকারিণী খালুইবিলে এক চিকিৎসকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। রূপকুমারবাবু তাঁকে অনুসরণ করে সেখানেও পৌঁছে যান এবং মোবাইলে ছবি তোলেন বলে অভিযোগ। |
বাড়ির আশপাশের কিছু লোকজন তাঁকে আটকে অল্প মারধরও করেন। পরে বর্ধমান থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে তাঁকে আটক করে। তাঁর বাড়ির কাছে মোবাইলে ছবি তোলায় চিকিৎসকও অভিযোগ জানান। এ দিন সিজেএম আদালতে তুলে রূপকুমারবাবুকে নিজেদের হেফাজতে চায় পুলিশ। অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দি নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু এ দিন তা সম্ভব না হওয়ায় ধৃতকে এক দিনের জন্য জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ, শনিবার ফের তাঁকে আদালতে হাজির করাতে এবং অভিযোগকারিণীর জবানবন্দি নিতেও বলা হয়েছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমল হালদার অবশ্য প্রশ্ন তোলেন, “জুলাই মাসে যদি ঘটনা ঘটে থাকে, মহিলা এত দিন বাদে পুলিশে অভিযোগ করলেন কেন?” তাঁর দাবি, “এখন গ্রামে-গঞ্জে এ রকম অনেক মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তা ছাড়া রূপকুমার আমাদের দলের সদস্য তো নয়ই, সক্রিয় কর্মীও নন। আমরা বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি না।” |