৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল দশা দেখে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেল। শনিবার চাঁচলে মহকুমা আদালতের উদ্বোধন করতে সড়কপথে সস্ত্রীক চাঁচলে গিয়েছিলেন তিনি। মঞ্চে ওঠার আগে মালদহের জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনার সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধান বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, “এত খারাপ রাস্তা! আপনারা এটা দেখুন!” সামনে ছিলেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীও। তখনই তলব করা হয় পূর্ত দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়র করুণ দে-কে। তিনি জানান, ওই রাস্তা পূর্ত দফতরের অধীন নয়। তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। জাতীয় সড়ক দফতরের মালদহের (এনএইচ-৭) এক কর্তা বলেছেন, “ওই রাস্তা সারাতে টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বর্ষায় তো পিচের কাজ করা যাবে না। তাই দেরি হচ্ছে।” গত এক বছর ধরে গাজল থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর পর্যন্ত ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের ৫২ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল। গোটা সড়কে অসংখ্য খানাখন্দ। বৃষ্টির জল রাস্তার গর্তে জমে তা ডোবা হয়ে গিয়েছে। রোজই দুর্ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি সড়কের উপরেই শ্রীপুরে রাস্তার পাশে একটি মাটি বোঝাই লরি উল্টে এক দম্পতির মৃত্যু হয়। ভগবানপুরে একটি বাস নয়নজুলিতে উল্টে ৩০ জন যাত্রী জখম হন। ফলে বেহাল রাস্তা দিয়ে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে আসার ঝুঁকি নেয়নি প্রশাসন। ওই রাস্তা বাদ দিয়ে ৯ কিলোমিটার ঘুরপথে কোতুয়ালি-রতুয়া রাজ্যসড়ক ধরে প্রধান বিচারপতির সফরসূচি স্থির করা হয়। কিন্তু সামসি থেকে বিকল্প পথ না থাকায় ১৩ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক ধরেই চাঁচলে পৌঁছতে হয়। |