গঙ্গার গ্রাসের কবলে স্কুল। যেভাবে ভাঙন হচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২-৩ দিনের গোটা স্কুলের ভবন গঙ্গাগর্ভে তলিয়ে যাবে। এই অবস্থায় স্কুলের জিনিসপত্র নিলাম করার নিদের্শ দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান। আর সেই নিদের্শ পাওয়ার পরই মানিকচকের ডোমহাটের কিসনটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্কুল ভবনের ইঁট, জানালা, দরজা বিক্রি করতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গ্রামে গ্রামে ঢোল পিটিয়ে নিলামের ডাক দেওয়া শুরু করেছেন। শুধু কিসানটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ই নয়, গঙ্গার গ্রাসের হাত থেকে বাঁচাতে মানিকচকে গত ৪ বছরে ছয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নিলামের ঘটনা ঘটেছে। |
এদিকে স্কুল নিলামে বিক্রি হয়ে যাবে এই বার্তায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে স্কুলের ১২৯ জন পড়ুয়া ও তাঁদের পরিবারের মধ্যে। গত বুধবার এলাকায় গিয়ে তাদের আশ্বস্ত করেছেন সংসদের চেয়ারম্যান। দ্রুত নতুন স্কুল তৈরি করার প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন। চেয়ারম্যান রামপ্রবেশ মন্ডল বলেন, “গঙ্গার ভাঙন যেভাবে এগিয়ে আসছে তাতে যে কোনওদিন গোটা স্কুল গঙ্গায় তলিয়ে যাবে। যা অবস্থা এখন স্কুলের বিল্ডিং ভেঙে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই স্কুলের জিনিসপত্র নিলাম করার নিদের্শ দিয়েছি। এলাকার মানুষ জায়গা দিলে স্কুলের নিলামের টাকা ও সাংসদের টাকায় নতুন করে স্কুলের ভবন তৈরি করা হবে।” যতদিন নতুন স্কুল তৈরি না হচ্ছে ততদিন এলাকার কোনও বাসিন্দার বাড়িতে স্কুল চলবে বলে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে মানিকচকের ডোমহাট, জোটপাট্টা, শিবেনটোলা, চামটোলা, মদনটোলা এলাকায় ব্যাপক ভাঙনে প্রচুর ফসলি জমি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। অনেকে বাড়ি ছাড়তে শুরু করেছেন। কিসানটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক নিরঞ্জন মন্ডল জানান, কয়েকদিন আগে সংসদের চেয়ারম্যানের কাছে স্কুল ভবন ভেঙে বিক্রি অথবা নিলাম করার জন্য চিঠি পাঠিয়ে আবেদন করেছিলাম। যেভাবে গঙ্গা স্কুলের দিকে ধেঁয়ে আছে তাতে স্কুলকে ভাঙনের হাত থেকে বাঁচানো যাবে না। |