ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে এক মাস বিদ্যুৎবিহীন হয়ে রয়েছে ৪টি এলাকা। এতে ছাত্রছাত্রী, বাসিন্দাদের পাশাপাশি আমন চাষের জলসেচ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরাও। বারবার আবেদন নিবেদন করেও সমস্যা না মেটায় শেষে তিন ঘন্টা ধরে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। মালদহের রতুয়ার বাখরায় বাহারাল-মালদহ রাজ্য সড়কে বৃহস্পতিবার সকালে ওই পথ অবরোধ হয়। অবরোধে নিত্যযাত্রীদের চূড়ান্ত নাকাল হতে হয়। পরে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির তরফে আশ্বাস দেওয়ার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে ১২টায় অবরোধ উঠে যায়। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির নর্থ মালদহের ডিভিশনাল ম্যানেজার বরুণ বিশ্বাস বলেন, “এলাকায় বৃষ্টি কম হওয়ায় স্যালো পাম্পসেট চালিয়ে জমিতে জলসেচ করছেন চাষিরা। বাড়তি চাপে বহু এলাকায় ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে পড়ছে। জেলা জুড়েই একই সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাতে ট্রান্সফর্মার পাল্টাতে একটু সময় লাগছে।” তিনি জানান, জেলাতে পর্যাপ্ত ট্রান্সফর্মারও নেই। দ্রুত যাতে সমস্যা মেটে তা দেখা হচ্ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত অগস্ট মাসের মাঝামাঝি বাবলাবোনা এলাকার ট্রান্সফর্মারটি বিকল হয়ে পড়ে। বিপাকে পড়তে হয় বাবলাবোনা, পশ্চিম বাবলাবোনা, ঘুড়ঘুড়ামণি, দক্ষিণ বাবলাবোনা এলাকার বাসিন্দাদের। আমন চাষ শুরু হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে জমিতে জলসেচ নিয়ে। বাসিন্দাদের নালিশ, বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির দফতরে আবেদন করেও আশ্বাস ছাড়া কিছু মেলেনি। বাধ্য হয়ে এদিন সকাল ৯টা থেকে বাখরায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বাসিন্দারা।৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক বেহাল হয়ে পড়ায় চাঁচল থেকে অধিকাংশ গাড়ি কয়েকমাস ধরে এই রাজ্য সড়ক ধরেই যাতায়াত করছে। অবরোধে চূড়ান্ত যানজট তৈরি হয়। বিরাট পুলিশবাহিনী নিয়ে এলাকায় যান রতুয়ার ওসি সুমন্ত বিশ্বাস। পরে বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির আধিকারিকদের সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ করে বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন। বাবলাবোনায় বাড়ি রতুয়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সদস্য রেজাউল হকের। তিনি বলেন, “দিনের পর দিন বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির তরফে আশ্বাস ছাড়া কিছু মেলেনি। ফলে বাধ্য হয়েই বাসিন্দাদের পথে নামতে হয়েছে।” জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ সৈয়দ মাঞ্জারুল ইসলাম জানান, এবার পরিমাণ মত বৃষ্টি না হওয়ার পাশাপাশি বিপিএল তালিকাভূক্তদের ঢালাও সংযোগ দেওয়ায় চাপ বেড়েছে। এতে ট্রান্সফর্মার পুড়ে একাধিক এলাকায় একইরকম সমস্যা তৈরি হয়েছে। |