তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী, পেশায় মাংস বিক্রেতা সুপেন্দ্রনাথ বর্মনের খুনের ঘটনার ২৪ ঘন্টা পরেও দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কেন ওই খুন তাও স্পষ্টভাবে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। খুনের ঘটনার তদন্তের কাজে পুলিশের বিরুদ্ধে ওই নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল নেতাদের একাংশ। বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ কর্তাদের কাছে খুনের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা না হলে পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামারও কথা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ দাস বলেন, “আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী খুনের ঘটনার ২৪ ঘন্টা পরেও পুলিশের সক্রিয়তা দেখতে পাচ্ছি না। কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। মন্ত্রী করিম চৌধুরীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি রাজ্য পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।” দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অরিন্দম সরকারের অভিযোগ, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সুপেন্দ্রনাথবাবুর নেতৃত্বেই ওই এলাকায় তৃণমূল শক্তিশালী হচ্ছিল। সিপিএমের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে থাকতে পারে বলে মনে হচ্ছে। এই সন্দেহের কথা জেলা পুলিশ কর্তাদের একাধিকবার জানানো হলেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। খুনের স্পষ্ট কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।” তৃণমূলের ওই নেতারা বলেন, “২৪ ঘন্টা আর দেখা হবে। নইলে রায়গঞ্জ থানা ঘেরাও করা হবে।” বামফ্রন্ট পরিচালিত স্থানীয় মহিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা এলাকার সিপিএম নেতা তপন উপাধ্যায় বলেন,“রাজনীতি করতেই মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আমরাও চাই দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার হোক। ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতার জেরেই সুপেন্দ্রনাথবাবু খুন হয়েছেন বলে আমাদের সন্দেহ।” নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশ কর্তারাও। রায়গঞ্জের ডিএসপি জ্যোতিষ রায় বলেন, “অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা তদন্ত করে খুব শীঘ্রই খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করব।” গত মঙ্গলবার রাতে হাট থেকে দোকান বন্ধ করে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফেরার পথে খুন হনরা লক্ষ্মনীয়া মোড়টুলির সুপেন্দ্রনাথবাবু। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরের একটি রাস্তার থেকে দেহটি উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, রাজনৈতিক কারণে খুনের কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। ব্যবসায়িক বিরোধ বা টাকা লেনদেন নিয়ে শত্রুতার জেরেই তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন। নিহত মহারাজা হাটে মাংস বিক্রি করার পাশাপাশি সুদে টাকা ধার দিতেন। এই বিষয়টি দেখা হচ্ছে। পরীক্ষা করা হচ্ছে নিহতের মোবাইলের কললিস্টও। |