|
|
|
|
|
মা ফলেষু কদাচন |
মানে, বাঙালির কথা হচ্ছে আর কী। ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান অর্পিতা ঘোষ দেব |
বাঙালিদের মধ্যে ফল খাওয়ার প্রচলন কম। অথচ প্রতি দিন আমাদের দু-তিনটি ফল খাওয়া খুব দরকার, ছোট-বড় নির্বিশেষে। কারণ, ফল আমাদের প্রাণশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পাকা ফলে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট থাকে। সেই সঙ্গে থাকে এক-এক রঙের এক-এক গুণ। তরমুজ, টমেটোর মতো লাল ফলে থাকে প্রচুর লাইকোপিন। আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে এটি। জামের রঙে থাকে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। সবুজ ফলে থাকে ক্লোরোফিল। আমাদের শরীরযন্ত্রে এদের প্রতিটিরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। তাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সব ফলই খাওয়া উচিত। প্রাকৃতিক ভিটামিন আর মিনারেল-এর এত বড় উৎস আর কোথাও মেলে না। তবে ফল খাওয়া আর ফলের রস খাওয়া কিন্তু এক নয়। ফলের মধ্যে থাকা ভিটামিন, মিনারেল অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায় ফলের রসে। তা ছাড়া এতে ফাইবার থাকে না বলে খালি পেটে ফলের রস খাওয়া মোটেই উচিত নয়। এত উচ্চ-কার্বোহাইড্রেট যুক্ত পানীয় এক সঙ্গে শরীরে ঢুকলে তা হজম হতে সমস্যা হয়। ফলে চটপট গ্যাস তৈরি হয়। |
|
খালি পেটে ফলের রসের বদলে কলা, পেঁপে খাওয়া যেতেই পারে। এগুলো আমাদের শরীরের পিএইচ ব্যালেন্সকে নিউট্রাল রাখে বলে সমস্যা হয় না। অনেকে ভাবেন যে, ডায়াবিটিসে আম খাওয়া ঠিক নয়, বা ওবেসিটির সমস্যা আছে বলে অর্ধেকের বেশি ফল চলবে না। এমন ধারণা কিন্তু ঠিক নয়। শরীর অনুযায়ী, তার সমস্যা অনুযায়ী বুঝেশুনে ফল খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না। তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো চলা উচিত। নিজে থেকে ফল খাওয়া বন্ধ করলে এদের পুষ্টিগুণ থেকেও শরীর বঞ্চিত হবে।
আরও একটা কথা, ফল যে কোনও সময় খাওয়া যায়। রাতেও। আপনার শরীর যদি সহ্য না করতে পারে, সে ক্ষেত্রে বিকেলে বা সন্ধের দিকে খেয়ে নিন। রাতে শোওয়ার আগে যাঁদের মিষ্টি খাওয়ার অভ্যেস, তাঁরা মিষ্টির বদলে ফল খাওয়া অভ্যেস করতেই পারেন। |
|
|
|
|
|