|
|
|
|
|
কুফল বলে কিছু হয় না |
ফলেরা অনায়াসে বলতে পারে, ‘আমিও ভাল, তুমিও ভাল।’ এখানে পাবেন দশটি। বাকিরা গাছে সুন্দর। বাজারেও। |
|
আপেল
দিনে একটা আপেল খেলেই যে ডাক্তাররা আর ধারেকাছে ঘেঁষতে পারবে না, জানা কথা। আপেলের মধ্যে ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ছাড়াও রয়েছে ফ্ল্যাবোনয়েড। এটি হার্টকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। এ ছাড়াও রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে, ব্লাড প্লেটলেটগুলিকে জমাট বাঁধতে দেয় না। লাল আপেলের খোসাটি বাদ দেবেন না। এতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট তো আছেই, ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের গুণগুলোও ওখানেই লুকিয়ে যে! |
|
কমলালেবু
শীতের দিনের এই অতিথি ফলটি খেতেও যেমন চমৎকার, ঠিক তেমনই উপকারী। লেবু ভিটামিন সি-তে ভরপুর। এ ছাড়াও রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ, থিয়ামিন, ফোলেট, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি। কমলালেবুতে থাকা বিভিন্ন ধরনের ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং ফ্ল্যাবোনয়েড-এর কারণে এটি প্রদাহ প্রশমন করে এবং রক্তের জমাট বেঁধে যাওয়ার ভয় দূর করে। কমলা ভারী হৃদয়-বন্ধু ফল। রক্তচাপ কমিয়ে রাখে যাতে সহজে স্ট্রোক আর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট না হতে পারে। রোজ সকালে এক গ্লাস তাজা কমলার রস খেলে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস আর মোটেই চোখ রাঙাতে পারবে না। আরও আশ্চর্যের কী জানেন, কমলার খোসা কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই কোলেস্টেরলের মাত্রাকে যতটা সফল ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, অনেক ওষুধেরই সেই ক্ষমতা নেই। |
|
|
কলা
ব্রেকফাস্ট টেবিলে ভারী পছন্দের খাবার। একটা কলার সঙ্গেই শরীরে ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন বি সিক্স, ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম এতগুলো উপাদান ঢুকে পড়ে। ঊর্ধ্বগামী রক্তচাপের হাত থেকে শরীরকে বাঁচায় পটাশিয়াম। ফাইবার হার্টকে সযত্নে রক্ষা করে। এ ছাড়াও কলা পাকস্থলীতে আলসার আর আনুষঙ্গিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। কলার উপাদানগুলি একটা মোটাসোটা মিউকাস-এর আচ্ছাদন তৈরি করে। ফলে পাকস্থলীর অ্যাসিড শরীরের ক্ষতি করতে পারে না। তাই কলার কাজ অনেকটা অ্যান্টাসিডের মতো। |
|
|
তরমুজ
গরমের দিনে বরফ মেশানো এক গ্লাস ঠান্ডা তরমুজের শরবতের হাতছানি এড়ানো বড় মুশকিল। নানা ভিটামিন তো আছেই, এ ছাড়াও তরমুজে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট-এর উপস্থিতিও বেশ জোরদার। এরাই হৃৎপিণ্ডের চার ধারে গড়ে তোলে এক সুরক্ষা কবচ। ফলে হার্টের জটিল সব অসুখ দূরে দূরেই থাকতে পারে। তরমুজের মধ্যে থাকে লাইকোপিন। এটি ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। অন্য দিকে, শ্বেত রক্তকণিকার মধ্যে থাকা ডিএনএ-কে রক্ষাও করে এই লাইকোপিন। তরমুজ যদি পরিমাণ মতো খাওয়া যায়, তা হলে অ্যাজমার কষ্টের তীব্রতা অনেকটাই কম হয়। |
|
কিউয়ি
একটু লম্বা গোছের দেখতে এই ফল। বাদামি খোলার ভেতরের অংশটা সবুজ রঙের। ছোট্ট ছোট্ট দানা থাকে ভিতরে। কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম সহ আরও অনেক খাদ্যগুণ রয়েছে এর মধ্যে। তা ছাড়াও এই ফলে প্রচুর পরিমাণে আছে ভিটামিন সি আর ভিটামিন ই। ফলে নিয়মিত খেতে পারলে কোলন ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ-এর সঙ্গে যুঝবার ক্ষমতা পায় আমাদের শরীর। যাঁরা ডায়াবিটিসে ভোগেন, তাঁরা এক স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক হিসেবে কিউয়ি ফল খেতে পারেন। বাচ্চারা কিউয়ি ফল খেতে পারলে তাদের শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যায় ভোগায় সম্ভাবনা কমে। |
|
|
পেঁপে
পেঁপে খেলেই একগুচ্ছ ভিটামিন আপনি ফ্রি-তে পাবেন, ওষুধের দোকানে হাঁটাহাঁটি করতে হবে না। ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে-র মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনই লুকিয়ে আছে ওই লম্বাটে খোলের মধ্যে। পেঁপে কিন্তু ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়ার এক জোরদার হাতিয়ার। কোলন আর প্রস্টেট ক্যানসারের বিরুদ্ধে এটি শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে। প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় পেঁপেকে ঠাঁই দিতে পারলে অ্যাজমা, অস্টিয়োআর্থ্রাইটিস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস-এর মতো কঠিন অসুখগুলোর ভয়াবহতা অনেকটাই কম হয়। |
|
|
স্ট্রবেরি
ভারী সুন্দরী ফল এটি। লাল টুকটুকে ফলটির রসে একেবারে টইটম্বুর চেহারা। ওইটুকু চেহারার মধ্যেই কিন্তু লুকোনো আছে ভিটামিন সি-এর বিশাল এক ভাঁড়ার। অন্যান্য ভিটামিনও রয়েছে প্রচুর। এ ছাড়াও আছে কপার, আয়োডিন, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ আর পটাশিয়ামও। আর আছে ফেনল। রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস, অস্টিয়োআর্থারাইটিস, অ্যাজমা, ক্যানসারের যন্ত্রণার জন্য যে উৎসেচকটি দায়ী, ফেনল তার কর্মক্ষমতা হ্রাস করে। |
|
আম
বাঙালির বড় সাধের ফল এটি। গরমের দিনে আমপোড়া শরবত বা নিদেনপক্ষে কুচি করে কেটে থালায় সাজিয়ে খাওয়ার সুখ ভোলার নয়। আমে আছে ভিটামিন এ। দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখার জন্য তাই এটি অবশ্যই খাওয়া উচিত। রাতকানা রোগ, চোখ শুকিয়ে যাওয়ার মতো অসুখের হাত থেকে আম আমাদের বাঁচায়। তা ছাড়া, আমের ভেতরের ডাইজেসটিভ এনজাইম হজমে সাহায্য করে। এ-ও বলা হয় যে, নিয়মিত আম খেলে গায়ের রং ফরসা হয় আর ত্বক নরম ও চকচকে হয়। |
|
|
ক্র্যানবেরি
ক্র্যানবেরি ফলের চেয়ে ক্র্যানবেরি জুসের সঙ্গে আমরা অনেক বেশি পরিচিত। ভারী চমৎকার লাল টুকটুকে রং হয় এর। ফলটির গুণও কিছু কম নয়। এই ফল ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন-এর হাত থেকে বাঁচায়। তা ছাড়া এটি অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়ালও বটে। যাঁদের মাঝেমধ্যেই কিডনিতে স্টোন হয়, তাঁরা নিয়মিত ক্র্যানবেরি জুস খেতে পারলে উপকার হয়। তা ছাড়া ক্র্যানবেরি হার্টের দেখভালও করে বেশ যত্ন নিয়েই। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হওয়া আটকায়। ক্র্যানবেরিতে এক ধরনের খুব শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট-এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যা কোলেস্টেরল-এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ক্র্যানবেরির ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ব্রেস্ট ক্যানসার রুখে দিতে পারে। |
|
|
আঙুর
গরমের দিনে বরফে আঙুর ঘষে খাওয়ার একটা অন্য আমেজ আছে। আঙুরে ভিটামিনের একেবারে ছড়াছড়ি। ভিটামিন বি ওয়ান, ভিটামিন বি সিক্স, ভিটামিন সি প্রচুর পাবেন এই ফলে। রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ আর পটাশিয়ামও। আঙুর মগজের দিকে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে হার্টের পেশির স্বাস্থ্য ভাল রাখে। নিয়মিত আঙুর খেতে পারলে অ্যালঝাইমার-এ ভোগার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে। আবার অন্য দিকে, ক্যানসার শুরু থেকে ছড়িয়ে পড়া পর্যন্ত যে যে পরিস্থিতি অনুঘটকের কাজ করে, আঙুরের উপাদানগুলি তাতে বাধা দেয়। |
|
|
|
|
|
|