|
|
|
|
|
পার্টি জয়ের নীল নকশা |
উৎসবের মরশুমে বাড়িতে গেট-টুগেদার, অতিথিদের আসাযাওয়া লেগে থাকবে।
পার্টি ছোট হোক বা বড়, সফল করতে প্ল্যানিংটা জবরদস্ত হতেই হবে। কী ভাবে? জেনে নিন। |
পুজোর সময় যত কাছে এগোবে, তত একটু একটু করে আনন্দ, হইহই বাড়বে। মনটা খালি বন্ধু ডেকে হুল্লোড় করতে উসখুস করবে। কিন্তু সেই সব জমায়েত, গেট টুগেদার তো ডেকে ফেললেই হল না। ভাল করে পরিকল্পনা সাজিয়ে সেটাকে সফল করতেও তো হবে। তার জন্য অবশ্য এত ভুরু কুঁচকে টেনশন করারও কিছু নেই। আপনি আড্ডাও দেবেন, খাওয়াদাওয়াও হবে, তার পর সক্কলে দারুউউউণ একটা সন্ধ্যে কাটালাম বলে ফেসবুকে স্টেটাস আপডেট দিয়ে আপনাকে থ্যাঙ্ক ইয়্যু বলে ট্যাগ করবে। তাই এই বেলা, একটা ফাটাফাটি পার্টি কী করে প্ল্যান করতে হয়, একটু জেনেবুঝে নিন। এই প্ল্যানিং পর্বের মজাটাও কম নয়।
|
কী খাবার আনাবেন |
এখন কিন্তু অতিথি ডেকে কয়েক প্লেট সিঙাড়া, মশলা বাদাম, ওয়েফার বিস্কিট চিপস ধরিয়ে দেওয়ার দিন গিয়েছে। নতুন নতুন হেঁসেল বাঙালির ঘরকন্নায় ঢুকে পড়েছে। চাইনিজও পুরনো হয়ে গেছে। একটা গেট টুগেদারে মেডিটারেনিয়ান, ইটালিয়ান, লেবানিজ খাবার নিয়ে জমিয়ে বসারই আশা করবে সবাই। যদি এই রান্নাগুলো আপনি ঠিকঠাক না জানেন, পার্টির দিন নতুন রেসিপি বই খুলে বসবেন না। বরং, কোনও রেস্তরাঁ থেকে আনিয়ে নিন। স্টার্টার হিসাবেও ভারতীয় পকোড়ার থেকে ইন্টারন্যাশনাল সালাড আর ডিপ সস অনেক ভাল। মকটেল ককটেল-এর সঙ্গে সাজিয়ে দিন। এগুলো বার বার গরম করতেও হবে না। গৃহকর্ত্রী দশ মিনিট অন্তর রান্নাঘরের দিকে ছুটলে কি অতিথিদের ভাল লাগে? তার থেকে এ সব অ্যাপেটাইজার সাজিয়ে দিন, বাইরে থেকে খাবার আনুন, ছোটাছুটি টেনশন ভুলে অতিথিদের সঙ্গে শুয়ে বসে আড্ডা দিতে পারবেন। পার্টি দারুণ জমবে।
|
|
অতিথির লিস্টি |
শুনতে কেমন একটু লাগবে, কিন্তু খতিয়ে দেখলে বুঝবেন, এই আইডিয়াটা চমৎকার ও কাজের। এমন লোকজনকে ডাকুন, যাঁদের আগে থেকে অল্পবিস্তর আলাপ আছে। অন্ততপক্ষে এটুকু খেয়াল রাখুন তাঁরা যেন সমমনস্ক হন। যাঁরা একটু চুপচাপ, জড়োসড়ো, মিশতে সময় নেন, এমন লোককে ডাকবেন না তা বলছি না, কিন্তু সবাই ও রকম চাপা প্রকৃতির হলেই মুশকিল। তখন দেখা যাবে, এক জন সোফায় বসে আঙুল নিয়ে খেলছেন, এক জন টিভিতে খবর দেখছেন, এক জন খবরের কাগজে মুখ ঢেকে বসে আছেন। আর সেই নিস্তব্ধ ঘরে আপনি বার বার রান্নাঘর থেকে চেঁচিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছেন। ভাল লাগবে?
তার থেকে ঘরটা বেশ আরামদায়ক করে সাজান, হাসিখুশি একটু বকবকিয়া লোকজনদের ডাকুন। এলেই একটা করে ড্রিঙ্ক ধরিয়ে দিন। দেখবেন খোশগল্প শুরু হয়ে গেছে।
|
|
সাহায্যের লোকজন |
একটু আগে থাকতে ভেবে রাখুন, বাড়িতে যে ছেলে বা মেয়েটি সব কাজে সাহায্য করে, সে বেচারি একা এই অতিরিক্ত কাজের ধকল নিতে পারবে তো?
যদি না পারে, তবে তাকেই আরও কয়েক জন বন্ধুবান্ধবকে আনতে বলে দিন। তা বলে তারা যেন একেবারে অনুষ্ঠানের দিন এসে হাজির না হয়।
দু’এক দিন আগে বাড়ি ডেকে গোটা জায়গাটা ঘুরিয়ে দেখিয়ে দিন।
|
|
বসাবেন কোথায় |
কত জন আসছেন, সেটা খুব ভাল করে হিসেব করে তবে বসার জায়গাটা সাজান। অতিথি সংখ্যা আট জনের মধ্যে থাকলে আপনি বসিয়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে পারেন। তার বেশি মানুষ এলেই কিন্তু তাঁদের নড়াচড়া করার, ঘুরে বেড়ানোর জন্য অনেকটা জায়গা প্রয়োজন হবে। সেই মতো সোফা, বিনব্যাগ, চেয়ার সাজান। মেঝেতে নরম গদিও পেতে দিতে পারেন।
|
|
মেনু ঠিক হওয়ার পর |
বাজার করা শুরু করে দিন। যেগুলো শুকনো খাবার সেগুলো দু’তিন দিন আগে থেকে কিনে রাখুন। আর পচে যেতে পারে এমন খাবার যেমন সব্জি, মাছমাংস ইত্যাদি, আগের দিন সন্ধ্যায় কিনে রাখুন। আর সেই সঙ্গে তখনই ঘরটায় চোখ বুলিয়ে নিন। ভাল ভাবে ধোওয়ার বা গোছানোর, পরিষ্কার করার প্রয়োজন হলে তক্ষুণি করে রাখুন। |
|
|
|
|
|