গত ২৫ অগস্ট থেকে জাতীয় অন্ধত্ব দূরীকরণ পক্ষ পালিত হয়ে গেল। ওই উপলক্ষে হুগলির শ্রীরামপুর সেবাকেন্দ্র ও চক্ষু ব্যাঙ্ক নানা কর্মসূচি পালন করল। ওই সংগঠনের তরফে ওই ১৫ দিনে কেওড়াতলা, শিবপুর এবং কালীবাবুর শ্মশানে প্রচার করা হয়। কোন্নগর, বালি, শ্রীরামপুর, রাজবলহাট, চুঁচুড়া প্রভৃতি জায়গায় সভা হয়। ট্যাবলো-সহ পদযাত্রা, সাইকেল র্যালি বিস্তীর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এ ছাড়াও, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, শ্রীরামপুর ওয়ালশ, চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে আলোচনা সভা করা হয়। ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই সমস্ত কর্মসূচি পালিত হয়। রবিবার শ্রীরামপুরে বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রায় ৫০টি শিশু যোগ দেয়।
গত কয়েক বছর ধরে মরণোত্তর কর্ণিয়া সংগ্রহে শ্রীরামপুর সেবাকেন্দ্র ও চক্ষুব্যাঙ্ক রাজ্যে সব থেকে এগিয়ে। ওই সংগঠনের কর্তারা জানান, ২০১১ সালে এই সংগঠনের মাধ্যমে ১১৪ জনের মরণোত্তর কর্ণিয়া সংগ্রহ করা হয়েছে। চলতি বছরে ইতিমধ্যেই ১১৫ জনের মরণোত্তর কর্নিয়া সংগৃহীত হয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে কয়েক লক্ষ মানুষ অন্ধ। এঁদের মধ্যে অনেকেই কর্ণিয়া জনিত সমস্যার কারণে দৃষ্টিহীন। কর্ণিয়া প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এঁদের চোখে আলো ফেরানো সম্ভব। মৃতের চোখ থেকে কর্ণিয়া সংগ্রহ করে তা প্রতিস্থাপন করতে পারলেই বহু দৃষ্টিহীনের চোখে আলো ফোটানো যায়। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা, মূলত মানুষের ‘কুসংস্কার’ তাড়া করে ফিরছে এই রাজ্যে চক্ষুদানে গতি আনতে। মরণোত্তর চক্ষু সংগ্রহে অন্য বেশ কয়েকটি রাজ্যের থেকে পশ্চিমবঙ্গ অনেকটাই পিছিয়ে। তামিলনাড়ু, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্ণাটক এ ব্যাপারে এ রাজ্যের তুলনায় অনেক এগিয়ে। |