টুকরো খবর
পঙ্গুদের হাসপাতাল দাবি মন্ত্রীর সামনেই
কাঁকুড়গাছি-বেহালা রুটে সিএসটিসি-র বাস চালাতেন বিষ্ণুপদ দে। বাস চালাতে চালাতেই ‘স্ট্রোক’ হয়। অসাড় হয়ে যায় ডান দিক। ভর্তি হন বেসরকারি রিহ্যাবিলিটেশন হাসপাতালে। তিন বছর পরে এখন তিনি সুস্থ। ফের বাস চালাচ্ছেন। ভোজের হাটের চন্দ্রাণী মণ্ডলের জ্বর হয়েছিল। যখন সেরে উঠছেন, তখনই এক দিন তেতলার নেড়া ছাদ থেকে মাথা ঘুরে নীচে পড়ে যান। তিন মাস ‘কোমা’য় ছিলেন। অবশ হয়ে যায় শরীর। দীর্ঘদিন শারীরিক পুনর্বাসন প্রশিক্ষণের পরে এখন ক্রাচ নিয়ে হাঁটেন। নিজের সব কাজ নিজেই করেন। বৃহস্পতিবার পার্ক সার্কাস চার নম্বর ব্রিজ এলাকায় অস্থি ও শিরদাঁড়ায় আঘাতের চিকিৎসার এক বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে এঁদের মতো অনেকেই হাজির ছিলেন। মঞ্চে উপস্থিত মন্ত্রী, বিধায়কদের সামনেই তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ দুর্ঘটনা বা অন্য আঘাতে পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য এখানে সরকারি হাসপাতাল থাকবে না কেন? মুখ্যমন্ত্রী যখন এত মেডিক্যাল কলেজ আর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ঘোষণা করছেন, তখন এই পঙ্গু মানুষেরা কেন ব্রাত্য? হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক মৌলিমাধব ঘটক বলেন, “হাসপাতালটি সরকারের সঙ্গে প্রাইভেট-পাবলিক মডেলে চালাতে চেয়েছিলাম। তাতে হাসপাতালের আয়তন বাড়ত। অনেক গরিব রোগীকে কম টাকায় পরিষেবাও দেওয়া যেত। অনেক চিঠিচাপাটি করেছি স্বাস্থ্য দফতরে। কিন্তু সাড়া পাইনি।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় আশ্বাস দেন, “দু’দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।” ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিজের বিধায়ক তহবিল থেকে আড়াই লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।

কালনায় ডেঙ্গি, মশা মারতে শুরু হল স্প্রে
তোড়জোড়।—নিজস্ব চিত্র।
ডেঙ্গি রোগীর সন্ধান মিলল কালনায়। আর তার পরেই ঘুম ভাঙল পুরসভার। বৃহস্পতিবার স্থানীয় মধুপুরের বাসিন্দা সুশান্ত অধিকারী জানান, মাসখানেক আগে তাঁর স্ত্রী রতিদেবীর জ্বর হয়। প্রথমে কালনা মহকুমা হাসপাতাল, পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রক্ত পরীক্ষায় তাঁর ডেঙ্গি ধরা পড়ে। মশাঠেকাতে এ দিন থেকেই শহরে স্প্রে শুরু করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, দু’টি ওয়ার্ডেই ওই মশা নিরোধক স্প্রে করা হবে। এর জন্য আগে দেওয়া বরাত অনুযায়ী বিশেষ তেল ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে পুরসভায়। স্প্রের পাশাপাশি মশাবাহিত রোগ থেকে নাগরিকরা কী ভাবে নিজেদের রক্ষা করবেন সে বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে একটি সচেতনতা মিছিল বের করা হয়। উপস্থিত ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান তথা কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু-সহ বেশ কিছু কাউন্সিলর। বিশ্বজিৎ কুণ্ডু বলেন, “আশা করা যায় শহরের সব ওয়ার্ডে এবার থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলবে।”

হেপাটাইটিস ‘সি’ পরীক্ষার কিট অমিল
রক্তে হেপাটাইটিস সি রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় কিট অমিল কালনা হাসপাতালে।ফলে বিভিন্ন রক্তদান শিবির থেকে রক্ত সংগ্রহ করে এনে সমস্যায় পড়ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সমস্যার কথা স্বীকার করে কালনার এসইএমও এইচ সুভাষচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “হেপাটাইটিস বি, এইচআইভি, বিডিআরএল-সহ বাকি পাঁচটি পরীক্ষার জন্য কিটের অভাব নেই। কিন্তু হেপাটাইটিস সি কিটের অভাবে মেটাতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে। সেখান থেকেই জরুরি ভিত্তিতে পরীক্ষা করিয়ে আনা হচ্ছে।” সুভাষবাবুর দাবি, “সমস্যাটি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের গোচরে আনা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত হেপাটাইটিস সি কিট মহকুমা হাসপাতালে এসে যাবে।’’

অজানা জ্বরে শিশুর মৃত্যু
অজানা জ্বরে মৃত্যু হল এক শিশুর। বৃহস্পতিবার মন্তেশ্বরের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পুঁড়সুড়ির এলাকার টুমটুম মাঝি (৩) নামের ওই শিশুর মৃত্যু হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল সে। বুধবার রাত থেকে নেতিয়ে পড়তে থাকে সে। মন্তেশ্বরের বিএমওএইচ কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে দেখা যায় ওই শিশুর দেহে কোনও স্পন্দন নেই। জ্বরের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সাফাই
—নিজস্ব চিত্র।
সারেঙ্গা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে বৃহস্পতিবার সাফাই অভিযান চালালেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। সারেঙ্গা ব্লক তৃণমূল সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ ঘোষের নেতৃত্বে এ দিন সকাল থেকে তাঁর দলের কয়েকশো কর্মী-সমর্থক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে জমে থাকা আবর্জনা সরিয়ে, আগাছা কেটে এবং নর্দমা পরিস্কার করেন। ধীরেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থেই আমরা দলের তরফে সাফাই অভিযান করেছি।”

দুর্গাপুরে অজানা জ্বরে আক্রান্ত ২১
অজানা জ্বর নিয়ে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হলেন ২১ জন। এঁরা কাঁকসার এগারো মাইল এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা ও শিশুও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, রোগীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অন্য দিকে, হঠাৎ এক সঙ্গে এত জন জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে ওই গ্রামে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল আজ শুক্রবার গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে।

স্বাস্থ্য শিবির
অপুষ্ট শিশুদের নিয়ে একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করল ছাতনার ঘোষেরগ্রাম পঞ্চায়েত। বুধবার ছাতনার দলপুর আশ্রমে এই শিবির হয়। উপস্থিত ছিলেন ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উমা খাঁ, যুগ্ম বিডিও (ছাতনা) কার্তিকচন্দ্র রায় প্রমুখ। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দীনবন্ধু কুণ্ডু বলেন, “অপুষ্টি দূর করাই আমাদের লক্ষ্য।”

স্মারকলিপি
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে স্যালাইনের সমস্যা সমাধানের দাবিতে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে বৃহস্পতিবার স্মারকলিপি দিল সিপিএমের যুব ও মহিলা সংগঠন। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি হাসপাতালে স্যালাইন ও ওষুধ সরবরাহের সমস্যা হয়েছে বলে অভিযোগ করে দ্রুত পদক্ষেপ করার দাবি জানানো হয়েছে।

ডেঙ্গি-সচেতনতা
ডেঙ্গি নিয়ে মানুষের আতঙ্ক কাটাতে বৃহস্পতিবার কাঁথি মহকুমা স্বাস্থ্য দফতর ও মহকুমা প্রশাসন করল সচেতনতা সভা। মহকুমাশাসকের সভাকক্ষে এই সভায় হাজির ছিলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কালীদাস দত্ত। মহকুমায় ১৫ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে।

নতুন বিশ্রামাগার
রোগীর আত্মীয়দের জন্য বিশ্রামাগার তৈরি হল উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। বুধবার সকালে এর উদ্বোধন করতে যান রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তণিমা মণ্ডল, উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান অদিতি কুণ্ড-সহ বিশিষ্টেরা। উত্তরপাড়ার বিধায়ক অনুপ ঘোষালের উন্নয়ন তহবিল থেকে বিশ্রামাগারটি তৈরি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।

শিবির
রক্তের ঘাটতি মেটাতে ছাতিমতলা ক্লাবের পরিচালনায় খড়্গপুরের তালবাগিচায় হল রক্তদান শিবির। ছিলেন এস এ নাজমি, চঞ্চল কর, নীতিশ বসু প্রমুখ। রক্ত সংগ্রহ করেন খড়্গপুর রেল হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীরা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.