নির্মীয়মাণ বিভিন্ন বাড়ির আনাচে কানাচে জল জমে থাকা, পরিত্যক্ত বাড়ি বা খালি জমিতে ঝোপজঙ্গল থাকলে সে সব সাফ করতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট বাড়ি বা জমির মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে পুরসভা। ডেঙ্গি প্রতিরোধে মশা নিয়ন্ত্রণে এমনই কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে তারা। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, শিলিগুড়ি মহকুমার বিভিন্ন ব্লক এবং জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক, বিডিওদের নিয়ে ডেঙ্গি প্রতিরোধে বৈঠক করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। বৈঠক সেরে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। বৈঠকে তাঁকে জানানো হয়, শিলিগুড়ি মহকুমা এবং রাজগঞ্জে ডেঙ্গি আক্রান্ত সন্দেহে বর্তমানে ১৭ জন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলিতে ভর্তি রয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত ৩ জনের রক্তের ডেঙ্গির জীবাণু নিশ্চিত ভাবে মিলেছে। তাই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলেই স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানিয়েছেন। তবে সচেতনতা প্রচারে জোর দেওয়া দরকার। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “নির্মীয়মান বাড়ির কাজের জন্য চৌবাচ্চা তৈরি করে রাখা বা জল জমে থাকলে সে সব সরিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। ওই সমস্ত বাড়িগুলিকে নোটিশ পাঠানো হবে। তার পরেও ব্যবস্থা না নিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে জরিমানা করা হবে। তবে ডেঙ্গি পরিস্থিতি যা তাতে শহরে বা মহকুমার বাসিন্দাদের অযথা উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।” জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে তিন জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে তাঁরা হলেন দার্জিলিঙের বাসিন্দা আউশ গৈরজ, শিলিগুড়ির হায়দরপাড়ার গোপাল রায়, এবং রাজগঞ্জের ফাটাপুকুরের বাসিন্দা মানস রায়। আইশ গৈরজ সম্প্রতি কলকাতায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই জ্বর নিয়ে ফেরেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তারা ভর্তি। এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুর কমিশনার প্রভুদত্ত ডেভিড প্রধান, পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ মৈত্রেয়ী চক্রবর্তী, সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত। ছিল মহকুমা পরিষদ, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও। পুরসভার বিরোধী বামেদের অভিযোগ, বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশা মারার তেল পর্যাপ্ত দেওয়া হয়নি। তা ছাড়া নতুন স্প্রে মেশিন দেওয়ার কথা জানানো হলেও এখনও তা সরবরাহ করা হয়নি। |