ঘিস নদীর বাঁধ বাঁধতে নাজেহাল সেচ দফতর
দালবাড়িতে ঘিস নদীর বাঁধ মেরামত প্রক্রিয়া শুরু হলেও নদীকে বাগ মানাতে বেগ পেতে হচ্ছে সেচ দফতরকে। বুধবার ভোরে মানাবাড়ি এলাকার ২০০ মিটার বাঁধ ভেঙ্গে ঘিস নদীর জল আন্দাঝোরা নদী হয়ে ওদলাবাড়ি শহরের বেশ কিছু এলাকায় ঢুকে পড়ে জলবন্দি হয়ে পড়ে চুইয়াবস্তি , ঘিসবস্তি , মজুমদার কলোনি এলাকার একশোরও বেশি পরিবার বুধবার সকাল থেকেই সেচ কর্তারা বাঁধ মেরামতের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও বৃহস্পতিবারেও তারা ওদলাবাড়ির বাসিন্দাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারেননি। পাহাড়ি বেপরোয়া ঘিস নদীর যে অংশে বাঁধটি ভেঙ্গেছে তা দিয়ে প্রচণ্ড স্রোতে জল বেরিয়ে আসছে। প্রথমে সেচকর্তারা জলের অভিমুখকে ঘুরিয়ে ফের মূল নদীতে ফেলার কাজকে প্রথম ধাপ হিসেবে দেখছেন। এই কাজে পে-লোডার দিয়ে নতুন নদী খাত তৈরি করে ঘিসকে বাগ মানানোর কাজ শুরু করা হয়েছে বৃহস্পতিবার পুরো দিন ধরে এই কাজই করেছেন সেচ কর্মীরা। দুপুরের পর ফের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন সেচকর্তারা। উত্তরবঙ্গ বন্যা নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্বাহী সদস্য গৌতম দত্ত ঘিস নদীর কাজের তদারকিতে রয়েছেন। ফের বৃষ্টি দেখে তিনিও কিছুটা চিন্তামগ্ন। বাইরে বেরিয়ে পরা জলকে ফের মূল নদীতে ফেলার কাজ শেষ করে ফেললে নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে বলে জানালেন তিনি। তারপর নতুন করে বোল্ডার ফেলে বাঁধ তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি। তবে বাঁধের কাজ শেষ হতে কত দিন সময় লাগবে তা নিয়ে তিনি নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। সেচমন্ত্রী মানস ভুইয়া গত বুধবারই ঘিস নদীর বাঁধ ভাঙ্গার খবর পেয়েছেন। তাঁর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে সেচকর্তাদের বাঁধ মেরামত করতে নির্দেশ দিয়েছি। আগে বাঁধ মেরামত হোক। তারপর কেন বাঁধ ভেঙ্গে গেল তাও প্রয়োজনে খতিয়ে দেখা হবে।” ওদলাবাড়ির আন্দাঝোরা নদীর ধারের বাসিন্দারা গত বুধবার সারারাত ঘুমোতে পারেননি। মজুমদার কলোনির রঞ্জিত রায় বলেন, “নদীর জল আরও বাড়ল কিনা তা সারারাত জেগে খেয়াল করেছি। যতদিন না বাঁধ মেরামত হচ্ছে তত দিন শান্তি নেই।” মালবাজারের মহকুমাশাসক নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, ওদলাবাড়িতে ত্রান বিলির কাজ চলছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.