|
|
|
|
ধরা পড়েনি অভিযুক্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শিলিগুড়ি পুরসভার তরফে আর্থিক তছরুপ এবং প্রতারণার অভিযোগ দায়েরের ৪ দিন পরেও অভিযুক্ত ঠিকাদার রাকেশ পালকে ধরতে পারেনি পুলিশ। পার্কিং ফি সংগ্রহের বরাত পেয়ে এক বছর ধরে টাকা সংগ্রহ করলেও পুরসভার প্রাপ্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা দেননি বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ৪ দিন পরেও তাকে ধরতে তৎপর না হওয়ায় পুলিশের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পুরসভার কর্মী আধিকারিকদের একাংশের মধ্যে। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছে রাকেশবাবুর বিরুদ্ধে। পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, পার্কিংয়ের বরাত পাওয়া ৬ জনের কাছ থেকে পুর কর্তৃপক্ষ প্রায় ২২ লক্ষ টাকা ফেরত পাবেন। রাকেশ পালের কাছেই বকেয়া প্রায় অর্ধেক টাকা। রাকেশবাবু তা দিতে অস্বীকার করায় এবং সময় সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও স্লিপ ছাপিয়ে পার্কিং ফি তোলায় তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। তবে রাকেশবাবু বাদে বাকিদের বিরুদ্ধে কেন এখনও অভিযোগ জানানো হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ দিকে অভিযুক্তদের মধ্যে পরিচিত এক ব্যক্তিকে পার্কিং ফি আদায়ের বরাত পাইয়ে দিতে ফোন করে অন্যদের টেন্ডার জমা করতে খোদ মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত নিষেধ করেছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন এক মহিলা। পাতিকলোনির বাসিন্দা মিতা মজুমদার নামে ওই মহিলার অভিযোগ, মেয়রের পরিচিত তাঁরই ওয়ার্ডের বাসিন্দা চিরঞ্জিত ঘোষ নামে এক ব্যক্তি যাতে পার্কিংয়ের ফি আদায়ের বরাত পান সে জন্য সচেষ্ট হন মেয়র। ২০১১-২০১২ সালে ২ নম্বর জোনে পার্কিং ফি আদায় করলেও চিরঞ্জিতবাবু পুরসভার প্রাপ্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা এখনও মেটাননি বলে অভিযোগ। নিজেদের পরিবার কংগ্রেসের সমর্থক জানিয়ে মিতাদেবী বলেন, “মেয়র ফোন করে বলেছিলেন চিরঞ্জিতবাবুর পরিবার আর্থিক সমস্যায় রয়েছে। ২ নম্বর জোনের পার্কিং ফি তোলার বরাত পেতে তিনি টেন্ডার জমা করেছেন। অন্য কেউ পেলে তিনি বিপদে পড়বেন। তাই আমি যেন টেন্ডার জমা না দিই। বিষয়টি নিয়ে আমি আপত্তি জানালে অন্য ব্যক্তিদের দিয়ে ফোন করিয়ে তিনি হুমকিও দেন।” মেয়র অবশ্য ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “যখন চিরঞ্জিতবাবুদের টেন্ডার প্রক্রিয়া হয়েছিল তখন পার্কিং বিভাগের দায়িত্বে তিনি ছিলেন না। তাই সে সময়ের টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত কিছু আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তা ছাড়া ওই মহিলা কে, তাঁকে আমি ফোন করতে যাব কেন কিছুই বুঝতে পারছি না।” মেয়র একথা বললেও তাঁর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চিরঞ্জিতবাবুর মতো ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে বিরোধী বামেদের। এমনকী খোদ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠদের সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|