|
|
|
|
বদলায়নি ‘জতুগৃহ’ দিনবাজার, উদ্বেগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
আমরি কাণ্ডের পরে দফায় দফায় বৈঠক এবং পরিদর্শনের পরেও পরিস্থিতি কিছুই বদলায়নি জলপাইগুড়ির দিনবাজারের। বুধবার রাতে আগুন নেভাতে গিয়ে বাজারের ভেতরেই ঢুকতে পারেনি দমকলের দুটি ইঞ্জিন। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ দিনবাজারের একটি মাংসের দোকানে আগুন লাগে। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন যায়। কিন্তু ঘিঞ্জি রাস্তা দিয়ে ভেতরে ঢুকতে পারেনি দমকল ইঞ্জিন। যদিও দমকল যাওয়ার আগেই আগুন নিভে যায়। তবে বাজারে দমকলের ইঞ্জিন ঢুকতে না পারায়, বড় ধরনের আগুন হলে কী ভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা হতো তা ভেবেই শিউরে উঠছেন দমকলের আধিকারিকরা। ১৫ একরেরও বেশি এলাকা জুড়ে প্রায় ১২০০ দোকান রয়েছে দিনবাজারে। |
|
ঘিঞ্জি দিনবাজার। ছবি: সন্দীপ পাল। |
আগুন লাগলে রাস্তায় ইঞ্জিন দাঁড় করিয়ে নেভানোর কাজ কখনোই সম্ভব নয় বলে দমকল সূত্রে একাধিকবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। পাইকারি ও খুচরো বাজারের পাশাপাশি দিনবাজারে কিছু বাজি পটকার গুদাম, কেরোসিন তেল, স্পিরিটের মতো দাহ্য পদার্থের একাধিক দোকান ও গুদাম পাশাপাশি রয়েছে। ফলে ঘিঞ্জি বাজারে আগুন ছড়াতে শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে দমকল কর্মীদের আশঙ্কা। জলপাইগুড়ি সদর মহকুমা শাসক সাগর চক্রবর্তী বলেন, “আমরির ঘটনার পরে পুরসভা-সহ দমকলকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। পুরো বাজারটাই অপরিকল্পিত ও অবৈজ্ঞানিক। পুরসভা ও দমকল কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চাইব।” চলতি বছরের শুরুতেই কলকাতার আমরি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের পরে দিনবাজারের অগ্নি সর্তকতামুলক ব্যবস্থা নিয়ে দমকল-পুরসভা-প্রশাসন যৌথ পরিদর্শন-সহ দফায় দফায় বৈঠক হয়। দমকল বিভাগ থেকে পৃথক ভাবে দিনবাজার নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্টও দেওয়া হয় প্রশাসনকে। তার পরেও বুধবারের ঘটনার পরে উদ্বিগ্ন দমকল কর্তারা। জলপাইগুড়ির দমকল কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শান্তিরঞ্জন গুহ বলেন, “দিনবাজার নিয়ে একের পর এক রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।” দিনবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির. সম্পাদক মহাদেব নাগ বলেন, “পুরো বাজারটাই জতুগৃহ হয়ে পড়েছে।” পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “দিনবাজারে পুরসভা একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে। ব্যবসায়ী সমিতির একাংশের বিরোধে কাজ করা যায়নি। বাজারে দুর্ঘটনা ঘটলে সমিতিই দায়ী থাকবে। বুধবারের ঘটনা সামনে আসার পরে ফের চিঠি পাঠানো হবে।” |
|
|
|
|
|