|
|
|
|
রাতের শিলিগুড়িতে নারীনিগ্রহে ধৃত দুই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
রাস্তার পাশ কাটানো নিয়ে বচসার জেরে স্বামীর সামনে এক গৃহবধূকে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল চার যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে প্রধাননগর থানার মার্গারেট স্কুল লাগোয়া এলাকায়। দম্পতির চিৎকারে আশেপাশের বাসিন্দারা দৌড়ে গিয়ে যুবকদের উপর চড়াও হয়। সে সময় তিনজন পালিয়ে গেলেও এক যুবককে ধরে ফেলে জনতা। পুলিশের টহলদারি ভ্যানও সেখানে পৌঁছে যায়। অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম গোবিন্দ দাস ও ভরত শর্মা। প্রথমজনের বাড়ি বাঘাযতীন কলোনিতে। অপরজনের বাড়ি চম্পাসারিতে। শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এ রবীন্দ্রনাথ বলেন, “ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ সেখানে পৌঁছয়। ২ জনকে ধরা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।” পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দিন রাতে একটি বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রতিনিধি রামকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী গৌরী দেবী প্রধাননগরের রাস্তা ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময় পিছন থেকে একটি গাড়ি গিয়ে হর্ন দেওয়া শুরু করে। রাস্তার পাশে বালু-পাথর পড়ে থাকায় পাশ দিতে একটু দেরি হয় তাঁদের। ওই সময় গাড়ির ভিতর থেকে ওই যুবকরা দম্পতিকে লক্ষ্য করে গালি দেয়। রামকৃষ্ণবাবুর অভিযোগ, গাড়ি থেকে নেমে ওই যুবকরা তাঁকে খুন করে ফেলে দেওয়া হবে হুমকি দিতে থাকেন। গৌরী দেবী প্রতিবাদ করলে তাঁর হাত ধরে টানাটানি শুরু করেন তারা। ভয় পেয়ে চিৎকার শুরু করেন দু’জনে। তখন আশেপাশের বাসিন্দারা সেখানে গিয়ে ওই যুবকদের ধরে ফেলেন। প্রধাননগর থানার আইসি রাজীব ভট্টাচার্য বিষয়টি জানতে পেরেই সেখানে টহলদারি ভ্যান পাঠিয়ে দেন। গৌরী দেবী বলেন, “চার যুবক প্রচণ্ড মদ্যপ ছিল। স্বামীকে মারধর শুরু করলে আমি প্রতিবাদ করি। তখন আমার হাত ধরে টানতে শুরু করে। স্বামীকে সেখানে খুন করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এলাকার লোকজন এগিয়ে না আসলে কি হত জানি না।’ রামকৃষ্ণবাবু বর্ধমানের বাসিন্দা। তিনি গত আট বছর ধরে শিলিগুড়িতে রয়েছেন। রামকষ্ণবাবু শিবমন্দিরে একটি চিকিৎসা সেন্টারে কর্মরত রয়েছেন। তাঁদের প্রধাননগরে মার্গারেট স্কুলের সামনে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। কিছুটা দূরেই বিবিডি কলোনিতে তাঁর শ্বশুরবাড়ি। তিনি কাজে গেলে তাঁর স্ত্রী বিবিডি কলোনিতে গিয়ে বাপের বাড়িতে থাকেন। রাতে তাঁরা একসঙ্গে বাড়ি ফেরেন। এলাকার সিপিএম কাউন্সিলর মুকুল সেনগুপ্ত বলেন, “পিুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। যাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় সে ব্যপারে আর্জি জানিয়েছি।” |
|
|
|
|
|