|
|
|
|
থাকছেন কারাট |
বুদ্ধের মতো দলকে ‘বার্তা’ দিতে চান শমীকও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসছে সিপিএম। তৃণমূলের ‘সন্ত্রাসে’র মোকাবিলা করে পঞ্চায়েত ভোটে লড়ার রণকৌশল তৈরির সময়েও আলিমুদ্দিন চিন্তায় রাখছে দলের অভ্যন্তরীণ সঙ্কটেই।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যে ভাবে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দলের পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক এড়িয়ে চলেছেন, অনেকটা সেই কায়দাতেই আজ, শুক্রবার রাজ্য কমিটির বৈঠকে গরহাজির থাকার সম্ভাবনা প্রাক্তন সাংসদ শমীক লাহিড়ির। শারীরিক অসুস্থতার জন্যই সম্প্রতি দলীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে বিভিন্ন কমিটির দৈনন্দিন দায়িত্ব থেকে কিছু দিনের জন্য ‘ছুটি’ চেয়েছিলেন শমীক। তবে সিপিএম সূত্রের খবর, দল যে ভাবে চলছে, তা নিয়েও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার এই তরুণ নেতার কিছু ‘ক্ষোভ’ ছিল। চিঠি পাওয়ার পরে শমীককে ডেকে পাঠিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। তার পরে তাঁকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিটুর সভাপতিও করা হয়েছে। কিন্তু শমীককে নিয়ে সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি বলেই দলীয় সূত্রের খবর। সেই জন্যই শরীরের কারণ দেখিয়ে বৈঠকে গরহাজির থেকে বুদ্ধবাবুর ঢঙে দলকে ‘বার্তা’ দিতে চান ডায়মন্ড হারবারের প্রাক্তন সাংসদ।
দলীয় সতীর্থেরা অবশ্য শমীককে বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরাও জানেন, রাজ্য কমিটির আজকের বৈঠকে যেখানে উপস্থিত থাকার কথা স্বয়ং দলের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাটের, সেখানে শমীকের সম্ভাব্য অনুপস্থিতি আলিমুদ্দিনের পক্ষে ‘বিড়ম্বনার কারণ’ হতে পারে।
রাজ্য কমিটির এক শমীক-ঘনিষ্ঠ নেতার কথায়, “শরীর খারাপের জন্যই উনি সম্ভবত শুক্রবারের বৈঠকে থাকতে পারবেন না। বা গেলেও সামান্য সময়ের জন্য যেতে পারেন। তবে ওঁর শরীর ও মন, দু’টোই খারাপ। সমস্যা মেটানোর চেষ্টা তো আমরা করছি।” দলের একটি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই শমীক যাদবপুরে একটি বৈঠকে গিয়েছিলেন। যা থেকে তাঁর ‘বার্তা’ পরিষ্কার বলে দলের একাংশের ব্যাখ্যা। দক্ষিণ ২৪ পরগনারই আর এক নেতা আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার অবশ্য এ বারের বৈঠকে থাকার কথা। তবে শনি ও রবিবার রাজ্য কমিটির দু’দিনের বর্ধিত বৈঠকের শেষ দিন তিনি থাকতে পারবেন না। ঘনিষ্ঠ মহলে রেজ্জাক এ দিন বলেছেন, “দু’দিন অন্তত বৈঠকে থাকব।”
পঞ্চায়েত ভোটে কোথায় কত আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই জেলাগুলি থেকে রিপোর্ট এসেছে আলিমুদ্দিনে। তার ভিত্তিতে রাজ্য কমিটিতে আজ রিপোর্ট পেশ করবেন বিমানবাবু। বিকালে পি সুন্দরাইয়ার জন্মশতবর্ষের আনুষ্ঠানে বক্তা কারাট। পরের দু’দিন বর্ধিত রাজ্য কমিটিতে জেলা সম্পাদকমণ্ডলী এবং গণসংগঠনের নেতারা পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি নিয়ে সবিস্তার মতামত জানাবেন।
মহিলা ও তফসিলি জাতি-উপজাতি সংরক্ষণের খুঁটিনাটি মাথায় রেখে ওই সব শ্রেণির প্রার্থী খুঁজতেও পরিশ্রম করতে হচ্ছে সিপিএমকে। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতার কথায়, “এখনও যা পরিস্থিতি, তাতে ১০০% আসনে প্রার্থী দেওয়া বামফ্রন্টের পক্ষে হয়তো সম্ভব হবে না। পুরুলিয়া বা মুর্শিদাবাদের মতো জেলায় সব আসনে লড়াই হবে। দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় আবার পরিস্থিতি তেমন নেই। বর্ধিত রাজ্য কমিটিতে ছবিটা অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।” |
|
|
|
|
|