এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে টাঙ্গি, শাবল, কাটারি নিয়ে চড়াও হল দুষ্কৃতীরা। ওই তৃণমূল কর্মী, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে জখম হন। বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার হেতিয়া গ্রামের এই ঘটনার সিপিএমের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও সিপিএম নেতৃত্ব তা অস্বীকার করে তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে দাবি করেছেন।
গুরুতর জখম অবস্থায় বাড়ির কর্তা টেলু মিদ্যা, তাঁর স্ত্রী অনিলা ও বড় ছেলে সুকুমারকে প্রথমে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তাঁরা মাথায় ও হাতে গুরুতর চোট পেয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী ওই বাড়িতে হানা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। ঘটনাচক্রে সেই সময় চাষের কাজে মাঠে ছিলেন পরিবারের ছোট ছেলে তপন মিদ্যা। তিনি ওই হামলা থেকে বেঁচে যান। বিষ্ণুপুর থেকে জখম বাবা, মা ও দাদাকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি বলেন, “আমরা তৃণমূল করি। তৃণমূল নেতা রবিউল মিদ্যার সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূল করার জন্যই সিপিএমের কর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। এখন বাবা-মা-দাদাকে কী ভাবে বাঁচাবো বুঝতে পারছি না।”
তৃণমূলের জয়পুর ব্লক সম্পাদক রবিউল মিদ্যা বলেন, “সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আমাদের কর্মীদের আতঙ্কে রাখতেই এ ভাবে মারধর শুরু করেছে সিপিএম।” যদিও সিপিএমের জয়পুর জোনাল কমিটির সম্পাদক বিশ্বনাথ দে’র কটাক্ষ, “বুধবার রবিউলের বিপক্ষ গোষ্ঠীর এক নেতাকে মারধর করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রবিউলের লোকেরা মার খেলেন। এতেই স্পষ্ট দু’টি ঘটনাই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রকাশ। আমাদের নাম মিথ্যা জড়ানো হচ্ছে।” পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। |