|
|
|
|
রেল লাইন থেকে মিলল ছাত্রের দেহ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
বুধবার বিকাল থেকে নিখোঁজ বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রের ক্ষতবিক্ষত দেহ মিলল বৃহস্পতিবার।
এ দিন সকালে রেলপুলিশ বহরমপুর শহর লাগোয়া বলরামপুর হল্ট স্টেশনের কাছকাছি সুমন মণ্ডল (২১) নামে ওই যুবকের দেহ পায়। কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার পিয়াল গ্রামে। শিয়ালদহ বিভাগের কৃষ্ণনগর-লালগোলা শাখার রেল পুলিশের ইন্সপেক্টার প্রদীপ দাম বলেন, ‘‘ট্রেনের ধাক্কায় ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।” ক্যানিং-এর মৎস্যজীবী পরিবারের সন্তান সুমনের কাকা গোবিন্দবাবু বলেন, ‘‘সুমন আত্মঘাতী হয়েছে, নাকি তাকে খুন করা হয়েছে সেই বিষয়ে আমরা অন্ধকারে রয়েছি। তবে আত্মঘাতী হওয়ার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি।”
কয়েকজন সহপাঠির সঙ্গে সুমন বহরমপুর লাগোয়া হরিদাসমাটি গ্রামের একটি মেসবাড়িতে থাকত। ওই মেসবাড়িতে থাকেন তাঁর সহপাঠী তমাল সাহা। তিনি বলেন, “দিন দশেক থেকে সুমন অস্বাভাবিক কম কথা বলতে থাকে। তা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সে ওই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেত। গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ সাইকেল নিয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সে মেসবাড়িতে না ফিরলে তার সেলফোনে রিং করি। কিন্তু তার সেলফোন বেজে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে বলরামপুর হল্টের কাছে তার ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া যায়।”
তবে তার সাইকেলটি পাওয়া যায়নি। সুমন দু’টি সেলফোন ব্যবহার করত। তার মধ্যে একটি পাওয়া গেলেও অন্যটি উধাও। রেলপুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “মৃতের সাইকেল ও একটি সেলফোনের হদিশ না পাওয়ার ঘটনা ওই মৃত্যু সম্পর্কে সন্দিহান করে তুলেছে।” বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজের অধ্যক্ষ চক্রধর দত্ত বলেন, “সম্প্রতি সুমন কলেজে অনিয়মিত আসতো।” ফলে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা, নাকি অন্য কিছু পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে। |
|
|
|
|
|