|
|
|
|
নদিয়া জুড়ে সম্পর্ক ফুটবল প্রতিযোগিতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নবদ্বীপ |
সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করতে এ বার নদিয়াতেও ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে পুলিশ। কয়েকটা দল নিয়ে নক-আউট প্রতিযোগিতা নয়। তিন মাস ধরে রীতিমতো ফুটবল লিগের আয়োজন করা হয়েছে। আর তাতেই আকণ্ঠ মজেছে কল্যাণী থেকে কালীগঞ্জ, করিমপুর থেকে কৃষ্ণনগর। এই প্রতিযোগিতার নাম সম্পর্ক ফুটবল। জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “মানুষের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ককে আরও সহজ বন্ধুত্বপূর্ণ করার লক্ষ্যে জেলা জুড়ে সম্পর্ক ফুটবল চ্যাম্পিয়ান লিগের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন থানা এলাকার প্রতিভাবান খেলোয়াড়েরা এই প্রতিযোগিতায় সংশ্লিষ্ট থানার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের আড়ষ্টতাও কেটে যাবে। গোটা জেলা জুড়ে সম্পর্ক ফুটবল ঘিরে দারুণ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।”
জেলার প্রাক্তন ফুটবলার রণজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “ফুটবল বরাবরই বাঙালির প্রিয় খেলা ছিল। কিন্তু মাঝে ক্রিকেট তার সিংহাসন কেড়ে নিয়েছিল। এখন আবার ফুটবল অনুরাগ ফিরছে। রাত জেগে মেসি, রোনাল্ডোদের খেলা টিভিতে দেখেন বহু মানুষ। ওডাফা, র্যান্টি, টোলগেদের নিয়েও মাতামাতি রয়েছে। তাই ফুটবলকে ফের চাঙ্গা করার চেষ্টা খুবই ভাল। এমন লিগ হলে জেলা থেকে ফের ভাল ফুটবলার উঠবে।” গোটা জেলাকে চারটি মহকুমা অনুসারে চারটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি জোনে যত গুলি করে থানা রয়েছে, তত গুলি দল লিগে খেলবে। এই খেলা হবে লিগ পদ্ধতিতে। চারটি জোনের লিগে তার জয়ী দলকে নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা হবে। শেষ পর্বটি নক আউট।
তাই আসামি, আদালত, চোর-ডাকাত দরতে ছোটার মতো হাজারো ঝক্কির পাশাপাশি এখন প্রায় সব থানাতেই শোনা যাচ্ছে ফুটবলের অনুষঙ্গে জড়ানো নানা শব্দ। কেউ বা চিন্তিত চূড়ান্ত দল তৈরি নিয়ে। কেউ মাঠের অবস্থা নিয়ে। কোন থানা ফুটবলে কতটা শক্তি ধরে, তার হিসেব নিকেশও চলছে সঙ্গে সঙ্গে। পুলিশ সুপার বলেন, “এই প্রতিযোগিতায় পুলিশকর্মীরা খেলবেন না। থানা এলাকাগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে যারা ভাল খেলেন, তাদের নিয়েই এক একটি দল তৈরি হবে।” কী করে বুঝবেন কে ভাল খেলে? পুলিশ সূত্রে খবর, মোটামুটি ভাবে তার জন্য স্থানীয় ফুটবল কর্তা, প্রাক্তন খেলোয়াড়, এলাকার ক্রীড়াপ্রেমীদের সঙ্গে কথা বলা হবে। দেখা হবে কোন কোন খেলোয়াড় স্থানীয় ক্লাবে ভাল খেলেছেন। পুলিশ সুপার বলেন, “থানা এলাকার প্রতিনিধিত্ব করবে, এতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল হবে।”
কল্যাণী ও রানাঘাট এলাকার লিগ প্রায় শেষের মুখে। কল্যাণী জোনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চাকদহ থানা। ৬টি থানা বিশিষ্ট রানাঘাট জোনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গাংনাপুর থানা। তেহট্টে ৫টি থানার মধ্যে এবং কৃষ্ণনগরের ৭টি থানার মধ্যে লিগ চলছে। তেহট্ট ও কৃষ্ণনগর থানা এলাকার লিগ শেষ হলে অক্টোবরেই চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করছেন জেলা পুলিশের কর্তারা। |
|
|
|
|
|