|
|
|
|
জামবনিতে শুভেন্দু |
ভোট ভাগাভাগি রোখার আহ্বান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
জঙ্গলমহলে তাঁর ‘রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচি’র লক্ষ্য যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন, তা বুঝিয়ে দিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা দলীয় সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বিকেলে জামবনির ব্লক-সদর গিধনির শালবাগান ময়দানে যুব তৃণমূলের এক সভায় শুভেন্দু বলেন, “সার্বিক উন্নয়ন ও গবির মানুষের রুটিরুজির স্বার্থে এই এলাকায় তৃণমূলকে পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় জিতিয়ে আনতে হবে।” |
|
জামবনিতে ছবিটি তুলেছেন দেবরাজ ঘোষ। |
গত বছর বিধানসভা ভোটে বিনপুর আসনে ভোট ভাগাভাগির জন্য হেরেছিলেন কংগ্রেস মনোনীত জোট প্রার্থী ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর চুনিবালা হাঁসদা। চুনিবালারই দলের অর্জুন হাঁসদা নেত্রীর বিপক্ষে প্রার্থী হওয়ায় বিনপুর আসনে সিপিএম জিতে গিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু এ দিন ভোট ভাগাভাগি না করার আবেদন জানিয়ে সিপিএম বিরোধী মানুষের বৃহত্তর জোট গড়ে তোলার পক্ষে সওয়াল করেন। সেই জোট রাজনৈতিক কি না সংবাদমাধ্যম তা জানতে চাইলে পরে শুভেন্দু বলেন, “আমি সিপিএম বিরোধী মানুষের মহাজোট গড়ার কথা বলেছি।”
সিপিএমের দখলে থাকা বিনপুর বিধানসভার অন্তর্গত জামবনি ব্লকের জামবনি পঞ্চায়েত সমিতিটি-ও সিপিএমের ক্ষমতাসীন। ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫টিতে ক্ষমতায় রয়েছে সিপিএম ও ৪টি পঞ্চায়েত ঝাড়খণ্ডীদের দখলে। মাত্র একটি পঞ্চায়েত এখন তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত বিরোধী জোটের দখলে। শুভেন্দুর অভিযোগ, “জামবনিতে সিপিএম কেবল খুন-সন্ত্রাস ও অস্ত্রের রাজনীতি করে গিয়েছে। আর সবুজ পতাকা নিয়ে যারা (ঝাড়খণ্ডীরা) সিপিএমের বিরোধিতা করেছেন, তাঁরাও পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় থাকাকালীন মানুষের কোনও উন্নয়ন করেন নি।” এ দিন বৃষ্টি উপেক্ষা করেও বেশ কয়েক হাজার মানুষ শুভেন্দুর বক্তব্য শোনেন। অন্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি শ্রীকান্ত মাহাতো, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা প্রমুখ। |
|
|
|
|
|