|
|
|
|
টাটা কেমিক্যাল |
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, জখম ২ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে আহত হল এক ঠিকা শ্রমিক। আহত হয়েছেন এক তৃণমূল সমর্থকও। বৃহস্পতিবার হলদিয়ার দুর্গাচকে টাটা কেমিক্যাল কারখানার গেটের সামনে ওই সংঘর্ষ বাধে। আসন্ন বিশ্বকর্মা পুজো ও ঠিকাকর্মী নিয়োগ ঘিরে কিছুদিন ধরেই গোলমাল চলছিল। এ দিন তা সংঘর্ষের আকার নেয়। আহত ঠিকা শ্রমিক শশাঙ্ক সাঁতরা ও তৃণমূল সমর্থক বিমল মিদ্যা দাসকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
ওই কারখানায় আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি বুদ্ধদেব দুয়ারী দু’মাস আগে মারা যান। দলীয় সিদ্ধান্তে সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ খাটুয়াকে কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু কারখানায় ঠিকা শ্রমিক নিয়োগে দুর্নীতি, ৬ জন নিরাপত্তারক্ষীর বাদ পড়াকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক পুর-নির্বাচনে তৃণমূলের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের (এই ওয়ার্ডেই রয়েছে কারখানাটি) প্রার্থী সৌমিত্র মণ্ডল, তৃণমূল কর্মী চন্দন মণ্ডলরা সরব হন। চন্দন বিধায়ক শিউলি সাহার অনুগামী বলে পরিচিত। ২০১০ সালের বিশ্বকর্মা পুজোর হিসেবে গরমিলের অভিযোগ তুলে সৌমিত্র অনুগামী রাজীব দে নামে এক ঠিকাশ্রমিককে কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে রবীন্দ্রনাথ খাটুয়াদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাজীব কাজে যোগ দেন। এ দিন নতুন করে সৌমিত্র, চন্দনরা বাদ পড়া ৬ নিরাপত্তাকর্মীর ‘অজুহাত’ নিয়ে ওই আইএনটিটিইউসি অফিসে চড়াও হয়। তাঁদের অভিযোগ, ‘নিষ্ক্রিয়’ সংগঠনের জন্যই এঁরা কাজ হারিয়েছেন। সেখানে উপস্থিত রবীন্দ্রনাথ খাটুয়া অনুগামী শশাঙ্ক সাঁতরা তাঁদের বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। রবীন্দ্রনাথবাবুর অভিযোগ, “সৌমিত্র, চন্দন, অনুপরা সংগঠনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। তাঁদের অনুগামীরা আমাদের শ্রমিকদের মারধর করে।” সৌমিত্রবাবুর পাল্টা অভিযোগ, “শশাঙ্ক এলাকার ছেলে নন। অথচ উনি কারখানায় কাজ করেন। কাজ না পাওয়া বিমলরা এটা মেনে নিতে পারছেন না। রবীন্দ্রনাথ খাটুয়া নিজেকে কার্যকরী সভাপতি পরিচয় দিয়ে দুর্নীতি করে শ্রমিক নিয়োগ করছেন। ওঁরাও বিমলকে মারধর করেছেন।” আইএনটিটিইউসি’র জেলা কার্যকরী সভাপতি শিবনাথ সরকার বলেন, “ওই কারখানায় রবীন্দ্রনাথই কার্যকরী সভাপতি হয়েছেন। সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর বদনাম করতে কেউ কেউ এ সব কাজ করছে। তাদের সতর্ক করা হবে।” |
|
|
|
|
|