দেনার দায়ে ধুঁকতে থাকা আই পি এল ফ্রাঞ্চাইজি ডেকান চার্জার্সের নিলাম ভেস্তে গেল বৃহস্পতিবার। আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত হায়দরাবাদের ফ্রাঞ্চাইজির জন্য ৯০০ কোটি টাকার দর দিয়েছিল হায়দরাবাদেরই একটি কোম্পানি, পিভিপি ভেনচার্স লিমিটেড। কিন্তু একমাত্র বিডারের সেই দর ‘যথেষ্ট নয়’ বলে নিলাম বাতিল করে দিল ফ্রাঞ্চাইজি মালিক ডেকান ক্রনিকল হোল্ডিংস। ফলে বড় ধরনের প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়ে গেল ফ্রাঞ্চাইজির ভবিষ্যৎ নিয়ে।
টাকার অভাবে ক্রিকেটারদের এখনও বেতন দিতে পারেননি ডেকান মালিকেরা। বোর্ডের সঙ্গে তাদের শর্ত অনুযায়ী, আগামী শনিবার বিকাল পাঁচটার মধ্যে বকেয়া না মেটালে বোর্ড ফ্রাঞ্চাইজির চুক্তি বাতিল পর্যন্ত করতে পারে। বোর্ড প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন এ দিন জানিয়েছেন, আগামী শনিবার বোর্ডের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানেই ঠিক হবে ফ্রাঞ্চাইজির ভবিষ্যৎ।
শ্রীনিবাসন বলেছেন, “ফ্রাঞ্চাইজি কিনতে আগ্রহী কোম্পানির যোগ্যতা সব দিক থেকে খতিয়ে দেখে বোর্ড সন্তুষ্ট ছিল। কিন্তু যা দাম পাচ্ছে, তাতে ডেকান চার্জার্স সন্তুষ্ট নয়।” ডেকানের সিদ্ধান্তে বোর্ড যে অখুশি, সেটা আরও পরিষ্কার হয়ে যায় বোর্ড সচিব সঞ্জয় জাগদালের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে। যাতে লেখা হয়েছে, “ডেকান ক্রনিকল হোল্ডিংস যে দর পেয়েছিল সেটা বোর্ডের সব শর্ত পূরণ করে। কিন্তু ডেকান মালিকরা একক সিদ্ধান্তে তা বাতিল করেছে। এতে বোর্ডের কোনও হাত নেই।”
বোর্ড বা ফ্রাঞ্চাইজির তরফে সরাসরি কিছু বলা না হলেও শোনা যাচ্ছে, যে ব্যাঙ্কের কাছে ডেকান চার্জার্স বন্ধক রাখা আছে, তাদের আপত্তিতেই নিলাম ভেস্তে গিয়েছে। আর এখানেই চটেছে বোর্ড। বোর্ডের এক কর্তার কথায়, “আইপিএলের টিম বোর্ডের সম্পত্তি। সেখানে বোর্ডকে কিছু না জানিয়ে সেটা কী করে ওরা ব্যাঙ্কের কাছে বন্ধক রাখে?” ফ্রাঞ্চাইজি ৯০০ কোটি টাকার দর বাতিল করাতেও বোর্ড কর্তারা বেশ আশ্চর্য। কারণ ডেকান ক্রনিকল হোল্ডিংস ফ্রাঞ্চাইজি কিনেছিল ৪২৮ কোটিতে এবং নিলামের ন্যূনতম দর ঠিক হয়েছিল ৭৫০ কোটি।
এ দিকে, অপসারিত প্রাক্তন আইপিএল কমিশনার ললিত মোদী গোটা ঘটনায় গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন। বোর্ডকে জোর এক হাত নিয়ে মোদী টুইট করেছেন, “ডেকান ফ্রাঞ্চাইজিকে বাতিল করার একটা খেলা চলছে। যাতে বোর্ড তাদের পছন্দসই নতুন ফ্রাঞ্চাইজির জন্য আবার দরপত্র ছাড়তে পারে। খুব সম্ভবত সেই ফ্রাঞ্চাইজি হবে আমদাবাদের। দেখা যাক কী হয়।” ডেকান দলের জন্য শুধুমাত্র একটি বিড পড়াতেও মোদী অবাক। লিখেছেন, “এতেই বোঝা যাচ্ছে মানুষ আইপিএল পরিচালন ব্যবস্থা এবং বোর্ডের প্রতি আস্থা হারিয়েছে।” |