|
|
|
|
ক্রেতা সেজে অস্ত্র বিক্রেতা পাকড়াও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
ক্রেতা সেজে অস্ত্র কেনার অভিনয় করে হাতেনাতে দুই অস্ত্র বিক্রেতাকে ধরল পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে চন্দ্রকোনার ধরমপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হল গড়বেতা থানার গুয়াইদহের বাসিন্দা দিনায়ান মোল্লা এবং নবকলার বাসিন্দা আফসার আলি। জেলার পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “চন্দ্রকোনা থেকে নতুন দুটি অস্ত্র, কার্তুজ-সহ দুই অস্ত্র বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোথা থেকে ওই অস্ত্র ওই বিক্রেতারা পেয়েছে, তা জেরায় জানার চেষ্টা চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন চন্দ্রকোনা শহর সংলগ্ন ধরমপুরের একটি চায়ের দোকানে অস্ত্র ক্রেতা সেজে চুপচাপ বসেছিলেন চন্দ্রকোনা থানার ওসি শীর্ষেন্দু দাস। পরনে ছিল গামছা আর সঙ্গে ছিল নগদ চল্লিশ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন। সাদা পোশাকে ১০ জন পুলিশ কর্মী ও অফিসারেরা ওই এলাকায় ঘুরছিলেন। সময় বুঝে ওসি ফোন করে ডাকেন ওই দুই অস্ত্র বিক্রেতাকে। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর হাতে লম্বায় তিন ফুট কালো একটি ব্যাগ নিয়ে তারা এসে পৌঁছায় ওই চায়ের দোকানে। এর পর ওসি চায়ের দোকান থেকে বেরিয়ে ঝোপের কাছে গিয়ে তাঁর টাকার ব্যাগটি খুলে দেখান। তখন তারাও ব্যাগ খুলে দেখায় একটি নতুন নাইন এম এম পিস্তল, একটি বার বোরের রাইফেল-সহ চারটি কার্তুজ। একটুও সময় নষ্ট না করে বাকি পুলিশ কর্মীরা ঘিরে ফেলেন তাদের। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তাদের। আচমকা এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দা থেকে ওই চায়ের দোকানের মালিক সবাই। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকমাস আগে চন্দ্রকোনার পলাশচাবড়ি থেকে অস্ত্র-সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁকে জেরা করেই এ দিনের ধৃতদের নাম এবং মোবাইল নম্বরটি জানতে পারে পুলিশ। ওসি শীর্ষেন্দু দাস বলেন, “ওই দুষ্কৃতীর কাছে জানতে পারি দিনায়ান এবং আফসারই বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কম দামে নতুন অস্ত্র সরবরাহ করে। এরপরই ওদের ফোনে আড়ি পাততে শুরু করি। এক সপ্তাহ আগে আমার ব্যক্তিগত ফোনে দুটি অস্ত্রের অর্ডার দিই। এ দিন সেটাই দেওয়ার কথা ছিল।” |
|
|
|
|
|