|
|
|
|
সাঁকো পেল দোনাই নদী, ঘুচল ভোগান্তি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
দাবি ছিল অনেক দিনের। কিন্তু প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর মেলেনি কিছুই। অবশেষে এলাকাবাসীর দাবি মেনে তৈরি হল চন্দ্রকোনা-২ ও কেশপুর দুটি ব্লক সংলগ্ন দোনাই নদীর উপর সাঁকো। লোহার কাঠামোর উপর কাঠের পাটাতন পেতে এই সাঁকোটি তৈরি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুই ব্লকের শতাধিক বাসিন্দার উপস্থিতিতে চন্দ্রকোনার সিপিএম বিধায়ক ছায়া দোলইয়ের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় তৈরি এই সেতু উদ্বোধন হল। ছিলেন স্থানীয় বিডিও সৈকত হাজরা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মমতা চৌধুরী, বান্দিপুর-২ পঞ্চায়েত প্রধান প্রদীপ বেজ, কেশপুর ব্লকের গোলাড় পঞ্চায়েত প্রধান আনোয়ারা বিবি-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। পাশাপাশি এ দিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে ছিলেন সিপিএম নেতা গুরুপদ দত্ত, তৃণমূল নেতা হীরালাল ঘোষ, কংগ্রেস নেতা মুক্তি দণ্ডপাট। |
|
উদ্বোধনের পর নতুন সাঁকো।—নিজস্ব চিত্র। |
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে খবর, একদিকে রয়েছে কেশপুর ব্লকের গোলাড় পঞ্চায়েতের কেওশা গ্রাম আর অন্য দিকে চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বান্দিপুর-২ পঞ্চায়েতের ভোতাখালি গ্রাম। দোনাই নদী বয়ে চলেছে এই ভোতাখালি গ্রামের মধ্যে দিয়েই। পারাপারের জন্য এলাকাবাসীরা একাধিক বার নিজেদের চেষ্টায় বাঁশের সাঁকো তৈরি করলেও তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে জলের তোড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুটি গ্রামের দুরত্ব ৭০ ফুট হলেও পারাপারের কোনও মাধ্যম ছিল না। তাই বান্দিপুর-২ পঞ্চায়েতের ঘনরামপুর, ব্রাহ্মণকলা, ভোতাখালি, বান্দিপুর-সহ প্রায় ২০টি গ্রাম ও কেশপুরের গোলাড়, কেওশা, চেচুড়া, নেড়াদেউল-সহ ২০-২৫ টি গ্রামের বাসিন্দাদের এত দিন প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ ঘুরে ওই সমস্ত গ্রামে যেতে হত। চাষিরা ঝাঁকরা, কেশপুর, নেড়াদেউল-সহ অনান্য বাজারে সব্জি নিয়ে যাওয়ার সময় নদীতে নেমে মাথায় বস্তা নিয়েও পারাপারে বাধ্য হতেন। কিন্তু নতুন সাঁকোটি তৈরি হওয়ায় দুরত্ব কমে দাঁড়াল ৫ কিলোমিটারে। এবার ঘাটাল, ক্ষীরপাই যেতেও সুবিধা হবে। ফলে খুশি স্থানীয় সুমন পান, কুমারেশ কাণ্ডার, পিয়ালি দোলই, মধু রায়-সহ শতাধিক চাষি। বিডিও সৈকত হাজরা বলেন, “৬ ফুট চওড়া এবং ৮০ ফুট লম্বা সাঁকোটি লোহার পাইপ ও শাল কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। খরচ পড়েছে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা। শুধু পায়ে যাতায়াতই নয়, অ্যাম্বুলেন্স এমনকী ছোট গাড়িও এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে।” ছায়া দোলই বলেন, “বিধানসভা ভোটের সময় প্রচারে যখন গিয়েছিলাম, তখন অনেক বাসিন্দাই এই সাঁকো তৈরির আর্জি জানিয়েছিলেন। তাই প্রথমেই আমি বিধায়ক তহবিলের টাকা দিয়ে এই সাঁকোটি তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছিলাম। কথা রাখতে পেরে আমি খুশি।” |
|
|
|
|
|