|
|
|
|
মাঠ দখলমুক্ত করতে ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি |
আইন অমান্যে অরবিন্দনগরবাসী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
খেলার মাঠ দখলমুক্ত করার দাবিতে এ বার আইন অমান্য করলেন অরবিন্দনগরের মানুষ। বৃহস্পতিবার ওই এলাকা থেকে একটি মিছিল বেরোয়। পরে ওই মিছিল জেলাশাসকের দফতরের সামনে কালেক্টরেট মোড়ে এসে পৌঁছয়। এখানেই আইন অমান্য কর্মসূচি পালিত হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে। পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। খেলার মাঠ দখলমুক্ত করার আন্দোলন জোরদার করতে ইতিমধ্যে একটি কমিটি তৈরি করেছেন এলাকার মানুষ। সেই কমিটির অন্যতম আহ্বায়ক কার্তিক ধর বলেন, “আরও সংগঠিত আন্দোলন হবে। স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করেই কর্মসূচী ঠিক করা হবে।” তাঁর অভিযোগ, “শান্ত মেদিনীপুরকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে।” আইন অমান্য ঘিরে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে এ দিন কালেক্টরেট মোড়ের সামনে ‘বাড়তি’ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। |
|
ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দনগরে এই খেলার মাঠের একাংশ গত ৩ বছর ধরে বেআইনি ভাবে দখল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বেদখল জমিতে বসতি গড়ে উঠেছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ফরওয়ার্ড ব্লকের মদতেই এই সব চলছে। ফব-র বক্তব্য, ভূমিহীন মানুষেরাই সরকারি জায়গায় ঘর তৈরি করে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে উচ্ছেদ করার চেষ্টা হলে আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক। এদিকে, জবরদখল উচ্ছেদের দাবিতে আগেও আন্দোলন হয়েছে। মাস কয়েক আগে শহরে ৬ ঘন্টার বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন অরবিন্দনগরের মানুষ। মাঠের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত ১৫ মে মেদিনীপুরে এক সর্বদল বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, মাঠে এখন যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁদের মধ্যে প্রকৃত ভূমিহীন কেউ আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখার পর দখল উচ্ছেদ- প্রক্রিয়া শুরু হবে। পরে আইনি পদক্ষেপ শুরুও করে প্রশাসন। গত ২৩ জুলাই এক নোটিস জারি করে প্রশাসন জানিয়েছিল, ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে সরকারি জায়গার দখল ছেড়ে দিতে হবে। নচেৎ আইনি পদক্ষেপ করা হবে। তবে সেই সময়সীমা শেষ হলেও প্রশাসনের আবেদনে কেউ সাড়া দেননি। আবার পুলিশ- প্রশাসনও উচ্ছেদের প্রস্তুতি শুরু করেনি। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ-প্রশাসনের উপর ‘চাপ’ সৃষ্টি করতেই এই আইন অমান্য কর্মসূচি। কার্তিকবাবু বলেন, “এ ভাবে মাঠ দখল করা যেতে পারে না। সব জেনেও পুলিশ-প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। মে মাসে সর্বদল বৈঠক হয়েছিল। সেখানেই সকলেই জানান, এ ভাবে মাঠ দখল করা যেতে পারে না। আমরা আশা করেছিলেন, এ বার নিশ্চয়ই মাঠ দখলমুক্ত করতে পুলিশ-প্রশাসন পদক্ষেপ করবে। কিন্তু তা হচ্ছে না।” তাঁর বক্তব্য, “আমাদের আন্দোলন চলবে। স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে।” |
|
|
|
|
|