আগামী মার্চের মধ্যে রানি ঝিলের জল ছেঁচে তুলে পলি সরিয়ে জলাশয়ের গভীরতা বাড়াতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে হাওড়া পুরসভাকে দ্রুত পচা খালের সংস্কার করতে বলা হয়েছে। উত্তর হাওড়ার বিস্তীর্ণ অংশে বর্ষার সময়ে জল জমার জন্য দায়ী ওই ঝিল ও খালের বেহাল দশা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্ত ও অসীমকুমার মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।
ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, রেলওয়ে ডিজেল শেডে ইঞ্জিনের পোড়া তেল এবং মবিল যেন আর কোনও ভাবেই ঝিলে না পড়ে। ঝিলের ভরাট হয়ে যাওয়া এবং বেদখল অংশ জরিপ করে রেলের মালিকানাধীন অংশ নিধার্রণ করে তা বেড়া দিয়ে ঘিরতে হবে। গোটা উত্তর হাওড়ার বর্ষার জল গিয়ে পড়ত ওই ঝিলে। সেই জল আবার পচা খাল বেয়ে গঙ্গায় যেত। খালটির অবস্থাও শোচনীয়। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত এই দুই জলাশয় সংস্কারের আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন।
পুরসভার সঙ্গে ওই কাজ করবে কলকাতা মেট্রোপলিটন ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন অথরিটিও। হাইকোর্ট এক জন স্পেশাল অফিসারও নিয়োগ করেছে। তিনি রেল-কর্তৃপক্ষ, পুরসভা, রাজ্য সরকার, কেএমডিএ এবং সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলে হাওড়ায় জল জমার সমস্যা নিরসনে একটি স্থায়ী সমাধানের সুপারিশ করবেন। বিচারপতিরা মন্তব্য করেন, দক্ষিণ ও মধ্য হাওড়ার নিকাশি ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। দ্রুত হাল ফেরাতে নির্দেশ দেওয়া হয় পুরসভাকে। হাওড়ায় ৩৭১ কিলোমিটার খোলা নর্দমা। অথচ সেই নর্দমার শেষ ৬ কিলোমিটার ঢাকা। পুরসভাকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ঢাকা ড্রেনেজ ক্যানাল সাফ করতে হবে সাত দিনের মধ্যে। হাওড়া শহরে জল জমার সমস্যা সমাধানে সুভাষবাবু তাঁর আবেদনে ৯টি সুপারিশ করেছিলেন। সেগুলি সত্বর কার্যকর করতেও এ দিন পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। |