নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
নতুন করে দলমার আরও ২৫টি হাতি পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা হয়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর বন বিভাগের বাঁকাদহ রেঞ্জের জঙ্গলে ঢুকে পড়ল। আগেই দু’দফায় দলমার ৬০টি হাতি বাঁকুড়া জেলায় ঢুকেছে। নতুন দলটি বুধবার রাতে স্থানীয় কলাবাগান পেরিয়ে নাচনা গ্রামে পৌঁছয়। বৃহস্পতিবার সেখানেই ছিল। বাঁকাদহ রেঞ্জের আধিকারিক বিজয় চক্রবর্তী বলেন, “গ্রামের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। হাতিগুলির গতিবিধির উপর নজর রাখছেন বন কর্মীরা।” এ দিকে দলমার অন্য দু’টি দলের ৬০টি হাতি রয়েছে সোনামুখীর জঙ্গলে। বিষ্ণুপুর রেঞ্জের জঙ্গলে রয়েছে ময়ূরঝর্ণা থেকে আসা আরও ২৫টি হাতি। এই জেলার জঙ্গলে ‘রেসিডেন্ট’ হাতির সংখ্যা প্রায় ২০। সব মিলিয়ে প্রায় ১৩০টি হাতি নিয়ে জেরবার বাঁকুড়ার বন কর্মীরা। অতিষ্ঠ জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দারাও।
|
গোসাবার গ্রামে বাঘের আতঙ্ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোসাবা |
বাঘের আতঙ্ক ছড়াল গোসাবার পাথরপাড়া গ্রামে। বুধবার গভীর রাতে উল্টো দিকের সুন্দরবনের পঞ্চমুখানি-২ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পিচখালি নদী সাঁতরে ওই গ্রামে হানা দিয়ে একটি বাঘ চারটি ছাগল মারে। গ্রামবাসীরা বন দফতরে খবর দেন। বনকর্মীরা রাতেই গ্রামে চলে আসেন। তত ক্ষণে গ্রামবাসীরা পটকা ফাটানো শুরু করে দেন। সকালে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে বনকর্মীদের অনুমান, বাঘটি নদী সাঁতরে ফের ওই জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর প্রশান্তকুমার পণ্ডিত বলেন, “রাতে গ্রামে একটি বাঘ ঢুকেছিল। ৪টি ছাগল মারার কথা শুনেছি। পায়ের ছাপ দেখে মনে হচ্ছে, বাঘটি জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে। ওই এলাকায় পর পর কয়েক বার বাঘ ঢুকল। বাঘ ধরার জন্য জঙ্গলের ধারে খাঁচা পাতা হচ্ছে।”
|
রাস্তার পাশে রাখা দাবিদারহীন লক্ষাধিক টাকার কাঠ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মালদহের চাঁচলের ভাগভাদো থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ওই কাঠ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এদিন সকালে গ্রামের রাস্তার পাশে আকাশমনি কাঠের ১৫টি গুঁড়ি পড়ে থাকতে দেখেন বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে তা বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশের অনুমান, কেউ কাঠগুলি পাচার করতে না পেরে ওই এলাকায় ফেলে রাখে।
|
ডুয়ার্সের দলগাঁও চা বাগানে হাতির হানায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে। হাতির হানায় ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীরা সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পযর্ন্ত ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম কিসমত খাখা (২০)। এদিন ভোরে বাগানে ৭-৮ টি হাতির দল হানা দিয়ে শ্রমিক আবাসনগুলি ভাঙচুর করে হাড়িয়া ও চাল খায়। স্থানীয় বাসিন্দার হাতি তাড়াতে গেলে মৃত যুবককে সামনে পেয়ে একটি দাঁতাল শুঁড়ে পেঁচিয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলে পা দিয়ে পিষে দেয়। হাতির আক্রমণে গুরুতরভাবে জখম হন করুণ নাগাশিয়া, সুশান্ত কুজুর ও রাজীব খালকো। তাঁদের বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার চা বাগানে হাতির হানা হলেও বন দফতর পটকা ও সার্চ লাইট দিচ্ছে না। হাতির হানায় মৃত ও আহতদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ হয়। জলপাইগুড়ির ডিএফও বিদ্যুৎ সরকার জানান, আহতদের সমস্ত চিকিৎসার খরচ বহন করা হবে। মৃতের পরিবারকে আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
|
তথ্য: নিলয় দাস, ছবি: রাজকুমার মোদক।
|
বিধাননগর এলাকায় গাছ কাটতে গিয়ে বাসিন্দাদের হাতে বৃহস্পতিবার ধরা পড়ল তিন ব্যক্তি। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃতদের নাম মনসুর, মনজুর এবং মোবারক শেখ। |