নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
নাবালিকাকে বিয়েতে অভিযুক্ত এক যুবককে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ঘটনাটি খানাকুলের নতিবপুরের।
দুই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুল লাগোয়া পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের নবগ্রামের নবম শ্রেণির ওই কিশোরী এবং প্রতিবেশী যুবকের সম্পর্ক বেশ কয়েক দিনের। ঘটনাটি জানাজানি হলে দুই পরিবারের কেউই বিয়েতে মত দেয়নি। বিয়ের জন্য আরও তিন বছর অপেক্ষা করতে বলা হয়। কিন্তু তা মানতে চাননি প্রেমিক-প্রেমিকা। দুই পরিবারের অমতেই তাঁরা বাড়ি থেকে পালিয়ে নতিবপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করেন।
এ দিকে, এলাকায় এক নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে শুনে বুধবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পুলিশ নিয়ে যান খানাকুল ২ বিডিও গৌতম সান্যাল। তত ক্ষণে অবশ্য বছরর পনেরোর ওই কিশোরীর সিঁদুরদান অনুষ্ঠান হয়ে গিয়েছে। বিডিও ঘটনাস্থলে গিয়ে জানান, এই বিয়ে আইনসিদ্ধ নয়। ২১ বছরের যুবক এবং নাবালিকা কনেকে পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি। গৌতমবাবু বলেন, “দু’পক্ষকে কাউন্সেলিং করার সুযোগ পাওয়া যায়নি। তার আগেই সামাজিক অনুষ্ঠান হয়ে গিয়েছে। তবে এই বিয়ে বেআইনি। আইনানুযায়ী, ওই যুবক এবং কিশোরীকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে হচ্ছে।”
ধৃত যুবক এবং ওই কিশোরীকে বৃহস্পতিবার তোলা হয়েছিল আরামবাগ মহকুমা আদালতে। বিচারক মেয়েকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ওই যুবককে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবগ্রামে গয়না তৈরির কাজ করে ওই যুবক। তিনি ও তাঁর প্রেমিকার বক্তব্য, “ভুল করেছি। কিন্তু বিয়ে তো হয়ে গিয়েছে। তিন বছর পরেই না হয় ঘর-সংসার করা শুরু করব।”
পুলিশ জানায়, বিয়ে করবে বলে দিন কয়েক আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল দু’জন। সব জানলেও দুই পরিবার তার প্রতিবাদ করেনি। মেয়ের বাবা বলেন, “এমনিতে ওই ছেলেটিকে মেয়ে বিয়ে বিয়ে করুক, তাতে আমার অমত ছিল না। শুধু আরও তিন বছর অপেক্ষা করতে বলেছিলাম। তা না শুনে এই বিপদ ডেকে আনল।”
অন্য দিকে, ছেলের বাবার কথায়, “এই বিয়েতে আমার সায় ছিল না। তাই পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ে করল। সে সব জেনেই আমি নিজে এই বিয়েতে উপস্থিতও থাকিনি।” |