তামিলনাড়ুর কুড়ানকুলাম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লিতে জ্বালানি ভরা বন্ধ হবে না বলে আজ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে, সেই সঙ্গে ওই কেন্দ্রের আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশও দিয়েছে কোর্ট। কেন্দ্রটি বন্ধ করার দাবিতে কুড়ানকুলামের বাসিন্দাদের বিক্ষোভ এখনও অব্যাহত। আজ মধ্যপ্রদেশের খান্ডওয়া জেলায় জল সত্যাগ্রহের মতো করে সমুদ্রে নেমে বিক্ষোভ দেখান কুড়ানকুলাম কেন্দ্রের আশপাশের বহু বাসিন্দা। ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কুড়ানকুলামে জ্বালানি ভরার কাজ শেষ হবে। তার দু’মাসের মধ্যেই চালু হবে কেন্দ্রটি।
কুড়ানকুলাম নিয়ে সমাজকর্মী তথা আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের আবেদনের আজ শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। আবেদনে ভূষণের দাবি, কুড়ানকুলাম কেন্দ্রে সতেরোটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে অন্তত ১১টি প্রয়োগ করা হয়নি। তাই ওখানে জ্বালানি ভরার কাজ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। কেন্দ্রের তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল, সলিসিটর জেনারেল এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল। তাঁরা ভূষণের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করে জানান, পরমাণু কেন্দ্রটি রীতিমতো সুরক্ষিত। আবেদনে যে ১৭টি ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে সেগুলি ‘অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা’র অংশ বলে কেন্দ্রের দাবি। ২০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি। সে দিনই দু’পক্ষের বয়ান সবিস্তারে শুনবে সর্বোচ্চ আদালত। তবে আজকের শুনানির পরই বিচারপতি কে এস রাধাকৃষ্ণন এবং দীপক মিশ্রর বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, জ্বালানি ভরার কাজ চলবে। তবে সেই সঙ্গে বেঞ্চ জানায়, পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (এইআরবি) কেন্দ্রের জন্য যে সব নিরাপত্তাব্যবস্থার সুপারিশ করেছে, সে গুলির যথাযথ প্রয়োগ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে সর্বোচ্চ আদালত। |
কুড়ানকুলামের নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্র বারবার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও বাসিন্দাদের বিক্ষোভ সামাল দেওয়া যায়নি। সম্প্রতি এইআরবি পরমাণু চুল্লিগুলিতে জ্বালানি ভরার অনুমতি দেওয়ার পরই নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়। আজ কুড়ানকুলামের আশপাশের গ্রামগুলি থেকে প্রায় শতাধিক বিক্ষোভকারী হাতে কালো পতাকা নিয়ে মানবশৃঙ্খল তৈরি করে সমুদ্রে নেমে বিক্ষোভ দেখান। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের খান্ডওয়া জেলায় ওঙ্কারেশ্বর বাঁধ নিয়ে গোলমালে ‘জল সত্যাগ্রহ’কেই প্রতিবাদের হাতিয়ার করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। সেই ধাঁচেই আজ সকাল দশটা থেকে প্রতিবাদে নামেন কুড়ানকুলামের বাসিন্দারা। গোলমাল এড়াতে মোতায়েন ছিল উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ। তা ছাড়াও প্রায় চার হাজার পুলিশ ও র্যাফ ছিল ঘটনাস্থলে। |