ব্যস্ত কাজের দিনে ফের দুর্ভোগ মেট্রোর যাত্রীদের। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল বিকল হয়ে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ব্যাহত হল মেট্রো-পরিষেবা। মেট্রো রেল সূত্রের খবর, দুপুর সওয়া দু’টো নাগাদ একটি ট্রেন দমদম স্টেশনে ঢোকার মুখে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল খারাপ হয়ে যায়। এই ঘটনার জেরে আপ লাইনের ট্রেনগুলি পরপর বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে কবি সুভাষগামী ডাউন লাইনেও।
অফিসটাইম না-হলেও এ দিন মেট্রোয় ভিড় ছিল ভালই। মেট্রো সূত্রের খবর, আপ লাইনে পরপর ট্রেন থেমে যাওয়ায় গিরিশ পার্ক ও ময়দান স্টেশন থেকে দু’টি ট্রেনকে ঘুরিয়ে ডাউন লাইনের ট্রেন করে দেওয়া হয়। এক যাত্রী বলেন, “ময়দানে প্রায় মিনিট দশেক ট্রেন থেমে থাকার পরে হঠাৎ ঘোষণা করে যাত্রীদের নেমে যেতে বলা হয়। ট্রেন থেকে নেমে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েও কোনও ট্রেন না পেয়ে বাসে অফিসে আসি।” অনেকটা একই রকম অভিজ্ঞতা দমদম স্টেশনের যাত্রীদের। এক যাত্রী বলেন, “এক মেট্রোকর্মী লাল ও সবুজ পতাকা নিয়ে লাইনের কাছে দাঁড়িয়ে ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। কিছুক্ষণ কবি সুভাষগামী কোনও ট্রেন ছিল না। পরে যখন ট্রেন চালু হয়, তখন স্টেশনে এত ভিড় হয়ে যায় যে, ওঠাই যাচ্ছিল না।” গিরিশ পার্কে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেন কেন বন্ধ, কখন চলবে, কিছুরই ঘোষণা না হওয়ায় বিভ্রান্তি বাড়ছিল। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ বা মেট্রোকর্মীরাও কিছু বলতে পারছিলেন না বলে জানান যাত্রীরা।
মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “দুপুর ২টো ১১ মিনিটে দমদমে একটি ট্রেন ঢোকার মুখে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল বিগড়োনোয় সমস্ত ট্রেনের আসতে আট-দশ মিনিট দেরি হয়। তাই আপ লাইনে পরপর ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। ট্রেন ছাড়তেও দেরি হচ্ছিল। গিরিশ পার্ক ও ময়দানে দাঁড়ানো দু’টি ট্রেনকে ডাউন লাইনে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ফের চালু হয়ে যাওয়ায় ৩টে ২০ নাগাদ ট্রেন চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়।” |