নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁইথিয়া |
সিউড়ি-সাঁইথিয়া রাজ্য সড়ক। সাঁইথিয়া শহরের একমাত্র রাস্তা। সাঁইথিয়া মেন রোড নামেই এলাকায় বেশি পরিচিত। চলতি বর্ষায় সেই রাস্তা ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই শহরের বাসিন্দা থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য কাজে শহরে আসা পথ চলতি মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। একই অবস্থা যানবাহনেরও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার দুর্দশার কথা জেনেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
সিউড়ির দিক থেকে আসা এই রাজ্য সড়কটি সাঁইথিয়া পুরসভা হয়ে শহরের মাঝ বরাবর লাভপুরের দিকে চলে গিয়েছে। এমনিতেই সতী পীঠ নন্দীকেশ্বরী মন্দির, হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ প্রভৃতির কারণে প্রত্যেকদিন অসংখ্য মানুষের ভিড় করেন সাঁইথিয়ায়। তা ছাড়া জেলায় রেলের একমাত্র রেক পয়েন্ট রয়েছে সাঁইথিয়াতেই। |
সাঁইথিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে ছবিটি তুলেছেন অনির্বাণ সেন। |
ফলে রেল-সড়ক যোগাযোগ থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই একমাত্র সম্বল ওই রাস্তাটিই। সংস্কারের অভাবে খানাখান্দে ভরা ওই রাস্তাটিই এই বর্ষার চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে উঠেছে। স্কুল শিক্ষক সমর্পণ চট্টোপাধ্যায় ও মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়, গাড়িচালক শেখ ইসমাইল ও পলাশ মণ্ডল, স্কুলছাত্র আমন পারেখ-রা বলেন, “শহরে একটিই মাত্র রাস্তা থাকায় এমনিতেই চাপ অনেক। তার উপর বহুদিন সঠিক ভাবে কোনও সংস্কারও হয়নি। এই বর্ষায় ওই বেহাল রাস্তা আরও দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করতে হচ্ছে আমাদের।” তাঁদের দাবি, “অবিলম্বে ওই রাস্তা সারানো হোক। পাশাপাশি আরেকটি বিকল্প রাস্তা তৈরি নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হোক।”
রাস্তার বেহাল অবস্থার কথা মেনে নিয়েছেন সাঁইথিয়ার পুরপ্রধান বীরেন্দ্রকুমার পারেখও। তিনি বলেন, “রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে পূর্ত দফতরের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি।” তাঁর দাবি, “মাঝখানে পুরসভার পক্ষ থেকে খানাখন্দগুলো ভরাট করার একটা চেষ্টা করা হয়েছিল। এ ছাড়া দীর্ঘদিন থেকে আমরা সাঁইথিয়ার জন্য একটি বিকল্প পথের দাবিও জানিয়ে আসছি।” এ দিকে, পূর্ত দফতরের (রাস্তা) এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস ঘোষ বলেন, “ওই রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। বর্ষার পরেই কাজ শুরু হবে।” যদিও সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, বর্ষা শেষ না হলে কি এ ভাবেই ভুগতে হবে তাঁদের? |