জড়িত নামী স্কুলের পড়ুয়ারাও
খন্দে ভরা রাস্তায় লুকিয়ে বিপদ
রাস্তাজুড়ে খানাখন্দ। বেশির ভাগ জায়গায় পিচের কোনও অস্তিত্বই নেই। ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে বাধ্য হন বাসিন্দারা। অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর ধরে সংস্কার হয়নি সিলামপুর থেকে নস্করবাঁধ হয়ে কসবা যাওয়ার রাস্তাটি। প্রশাসনের কাছে বার বার আবেদন জানিয়েও ফল মেলেনি। গলসি ১ ব্লকের বিডিও নিরঞ্জন কর আশ্বাস দিয়েছেন, রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানাবেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিলামপুর থেকে কসবা যাওয়ার রাস্তা এটি। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বহু বাস, ট্রাক, গাড়ি, মোটরবাইক যাতায়াত করে। রাস্তাটি প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। রণডিহা, শালডাঙা, ভরতপুর, মুন্সেপুর, চাকতেঁতুল, কসবা প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দাদেরও যাতায়াতের রাস্তা এটিই।
রণডিহার বাসিন্দা অরুপ জানার কথায়, “রাস্তাটি যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। মোটরবাইক নিয়ে যেতেও ভয় হয়।” একই বক্তব্য সিলামপুর থেকে রণডিহা প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতে যাওয়া শিবব্রত মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর বক্তব্য, “ঝুঁকি নিয়ে ওই রাস্তায় মোটরবাইক নিয়ে যাতায়াত হয়। সব সময়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়।”
রাস্তার বেশিরভাগ অংশই ভাঙা। পিচের প্রায় অস্তিত্বই নেই। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর রাস্তাটির কোনও সংস্কার কাজ হয়নি। বর্ষায় অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে গিয়েছে। ওই এলাকায় অনেক স্কুল, ব্যাঙ্ক রয়েছে। ফলে কর্মসূত্রে বাইরে থেকেও অনেকে আসেন। ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করেন তাঁরা।
—নিজস্ব চিত্র।
এই রাস্তা দিয়ে নিত্যদিন অনেকগুলি যাত্রীবাহী বাস যাতায়াত করে। দুর্গাপুর, বেনাচিতি, আসানসোল রুটের বাস, সেই সঙ্গে পানাগড়, গুসকরাগামী কিছ বাসও এই রাস্তায় যাতায়াত করে। এছাড়া কসবা থেকে বেনাচিতি বা দুর্গাপুর যাওয়ার বাসগুলির যাতায়াতের রাস্তাও এটিই। কিন্তু রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে বেশির ভাগ দিন বাস চালাতে চান না বাস মালিকেরা। বাস মালিক মুরলীধর মণ্ডলের দাবি, “রাস্তাটির হাল এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে প্রায় দিনই বাসের যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া ওই রাস্তায় যখন-তখন বিপদ ঘটতে পারে। তাই আমরা বেশি ঝুঁকি নিতে চাই না।” এই রুটের এক বাসকর্মী রূপচাঁদ আলি খাঁর দাবি, “রাস্তাটি খুবই বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে আছে। যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।” রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরাও।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের কাছে বারবার দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি। গলসি ১ ব্লকের বিডিও নিরঞ্জন কর অবশ্য জানিয়েছেন, বেহাল রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানানো হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.