|
|
|
|
কংগ্রেসের খেতমজুর সম্মেলনে গোষ্ঠী-বিবাদ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এলাকায় কংগ্রেসের একটি সংগঠনের পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল সংগঠনেরই দু’টি গোষ্ঠী। সম্মেলন চলাকালীন ‘বিক্ষুব্ধ’ গোষ্ঠীর কিছু কর্মী এসে ‘হামলা’ চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি উপ্তত্ত হয়ে ওঠে। ‘বিক্ষুব্ধ’দের কেউ কেউ মঞ্চেও উঠে পড়েন। চেয়ার ছোড়ছুড়ি শুরু হয়ে যায়। ঘটনায় দু’পক্ষেরই কয়েকজন জখম হয়েছেন। জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবে বলেন, “আমার কাছে সম্মেলন করার অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে সংগঠনের কর্মসূচি চলাকালীন এ ভাবে কেউ গোলমাল করতে পারে না। ঠিক কী হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখেই বুধবার এই পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল জেলা ওবিসি এবং গ্রামীণ শ্রমিক ও কিসান ক্ষেতমজুর কংগ্রেস। শহরের বিদ্যাসাগহ হলে সম্মেলন হয়। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য নেতা তপন দাস, জেলা নেতা নীলকন্ঠ আচার্য, অজিত মাইতি প্রমুখ। যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনিল শিকারিয়াও উপস্থিত ছিলেন। মূলত, তাঁর উদ্যোগেই এই সম্মেলন বলে দলীয় সূত্রে খবর। সম্মেলন শুরুর আগে শহরে এক মিছিল হয়। কর্মসূচীতে যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগঠনের কর্মী- সমর্থকেরা এসেছিলেন। প্রচুর সংখ্যক কর্মী-সমর্থক আসায় শুরু থেকেই সম্মেলনস্থলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কারন, অনেকে হলের মধ্যে বসার জায়গাই পাননি। তাঁদের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। মিছিল শেষে সম্মেলন শুরু হয়। আর এরপরই ‘বিক্ষুব্ধ’ গোষ্ঠীর কর্মীরা ‘হামলা’ করেন বলে অভিযোগ। |
|
তখন হাতাহাতি চলছে। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ |
শুরুতে বচসা বাধে। তারপরই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। সম্মেলনস্থলে উত্তেজনা দেখা দেয়। অনেকে ভয়ে হল থেকে বেরিয়ে চলে আসেন। অশান্তির মধ্যে পড়ে কয়েকজন মহিলাও জখম হয়েছেন। পরে সংগঠনেরই জেলাস্তরের নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। ‘বিক্ষুব্ধ’ গোষ্ঠীর লোকজন এলাকা ছাড়ার পর ফের সম্মেলন শুরু হয়। সংগঠনের অবশ্য বক্তব্য, ঘটনার সঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও সম্পর্ক নেই! যাঁর উদ্যোগে এই সম্মেলন, সেই প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি অনিল শিকারিয়া বলেন, “একদল দুষ্কৃতী সম্মেলন স্থলে এসে হামলা করেছে। বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করেছে। পুরো ঘটনাটি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।” তাঁর বক্তব্য, “সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সংগঠনকে চাঙ্গা করতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “শহরে একটি সম্মেলন হয়েছে বলে শুনেছি। তবে আমার কাছে সম্মেলন করার অনুমতি নেওয়া হয়নি। একটা ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে দলের তরফে যা পদক্ষেপ করার করা হবে।” |
|
|
|
|
|