রক্তপরীক্ষার ভুল রিপোর্টের কারণে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছেএই অভিযোগে সংশ্লিষ্ট প্যাথোলজি সেন্টারের তিন কর্মীকে ‘তুলে নিয়ে’ গেলেন মৃতের পড়শিরা। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ঘাটাল শহরের কুশপাতায়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই তিন জনকে উদ্ধার করে আনে। ঘাটাল থানার ওসি বিশ্বরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা মৌখিক খবর পেয়ে ওই তিন কর্মীকে উদ্ধার করি। কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি।”ঘাটাল থানার পুলিশ জানিয়েছে, দাসপুরের দুবরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা অজয় কর্মকারের (৩৫) মৃত্যুকে ঘিরে যত গোলমাল। গত ২১ জুলাই অজয়বাবুর বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে হার্টের অপারেশন হয়। চিকিৎসকদের নির্দেশ মতো প্রতি সপ্তাহে তিনি রক্তপরীক্ষা করাতেন পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ওই বেসরকারি প্যাথোলজি সেন্টারে। সম্প্রতি রিপোর্ট স্বাভাবিক আসায় তিনি ওযুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার সকালে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন অজয়বাবু। রাতেই কলকাতার একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ভুল রিপোর্টের কারণে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করাতেই এই বিপত্তি বলে মৃতের পরিজন-পড়শিদের দাবি। ভুল রিপোর্টের কারণে একটি পরিবারের কতবড় ক্ষতি হয়ে গেলতা দেখাতেই ওই তিন কর্মীকে দুবরাজপুর গ্রামে ‘তুলে নিয়ে’ যাওয়া হয়েছিল বলে এলাকাবাসীর দাবি। প্যাথোলজি সেন্টারের মালিক শুভাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের এখানে শেষ পরীক্ষা হয়েছে ৬ তারিখে। তাতে রিপোর্ট স্বাভাবিক ছিল। কোনও ভুল রিপোর্ট হয়নি।”
|
চিকিৎসার গাফিলতিতে ডায়েরিয়া আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে এখানে মৃত্যু হয় সুবোধ গোস্বামীর (৩৪)। পুরুলিয়ার কাশীপুর থানার ঘাটরাঙামাটি গ্রামে তাঁর বাড়ি। গত বুধবার তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভতি করানো হয়। তাঁর কাকা নিত্যানন্দ গোস্বামী জানান, চিকিৎসায় তাঁর ভাইপো কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু শনিবার মাঝরাতে হঠাৎ তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাঁর অভিযোগ, “ভাইপোর যখন শ্বাস কষ্ট হচ্ছিল, তখন ওয়ার্ডে কোনও ডাক্তার ছিলেন না। এক নার্স এসে তাকে অক্সিজেন ও সেলাইন দিয়ে যান। হাসপাতাল থেকে ফোন করে এক চিকিৎসককে ডাকা হলে তিনি ঘণ্টা দু’য়েক পরে আসেন। তার আগেই ভাইপো মারা যায়।” তাঁরা হাসপাতাল সুপারের কাছে গাফিলতির অভিযোগ জানান। হাসপাতাল সুপার পঞ্চানন কুণ্ডুর দাবি, “ডায়েরিয়া আক্রান্ত ওই রোগীর অবস্থা খুব জটিল ছিল। ওষুধেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। ঘটনার সময় কতর্ব্যরত চিকিৎসক অন্য ওয়ার্ডে রোগী দেখছিলেন। সে কারণে তাঁর ওই রোগীর কাছে পৌঁছতে কিছুটা দেরি হয়। তবে সাধ্য মতো পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।” তিনি জানান, রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
|
গাইঘাটার বিষ্ণুপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে রবিবার ডেঙ্গি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে একটি মোটরবাইক র্যালির আয়োজন করা হয়। সকালে কলকাতার লেক টাউন থেকে র্যালি শুরু হয়। উদ্বোধন করেন স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু। ১৭ জন মোটরবাইক চালিয়ে বিষ্ণুপুরে আসেন। ডেঙ্গি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্টার-ব্যানার ছিল। বিষ্ণুপুরে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা শিবিরেরও আয়োজন করা হয়। ছিল আলোচনাসভাও।
|
সদ্য মা হওয়া এক তরুণীর মৃত্যুকে ঘিরে আজ ব্যাপক ভাঙচুর চলল বিহারে সীতামঢ়ী সদর হাসপাতালে। আগুনও লাগানো হয়। পুলিশ জানায়, আগুনে অপারেশন থিয়েটার, ডাক্তারদের ঘর, ও এসি রুম কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসকের গাফিলতিতেই জেলার মাদারিপুর গ্রামের সোফিয়া খাতুনের মৃত্যু হয়েছে বলে ওই রোগিণীর পরিবারের অভিযোগ। |
দুঃস্থদের কাছে বিনামূল্যে উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে সম্প্রতি একটি স্বাস্থ্য শিবির আয়োজন করেছিল আরামবাগের একটি যুবগোষ্ঠী। নেতাজী স্কোয়াড সংলগ্ন একটি ভবনে ওই শিবির আয়োজিত হয়। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অরুণাংশু গঙ্গোপাধ্যায়, অস্থি বিশেষজ্ঞ দীপঙ্কর সেন, প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক ঝিলম মুখোপাধ্যায় এবং সাধারণ বিভাগের চিকিৎসক পার্থ পাল। প্রায় দু’শো দুঃস্থ রোগীকে এ দিন চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়।
|
অজানা জ্বরে মহিলার মৃত্যুর পরেই নড়েচড়ে বসল জঙ্গিপুর পুরসভা। শহরে এখনও ডেঙ্গি ধরা না পড়লেও বহু এলাকাতেই জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার রাত্রে মাধুরী হালদার (৪৫) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে শহরের ১৪নং ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিকাশ নন্দ বলেন, “প্রায় চার দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন মাধুরীদেবী। শনিবার রাত্রে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। কোন জ্বরে মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি।” জঙ্গিপুরের পুরপ্রধান মোজাহারুল ইসলাম বলেন, “শহরে মশার উপদ্রব যথেষ্ট বেড়েছে। প্রাথমিক স্কুলের ছেলেমেয়েদের বলা হয়েছে হাত-পা ঢাকা পোশাক পরে স্কুলে আসতে। পরিস্থিতি সামলাতে মঙ্গলবার থেকে মশা মারার কাজ শুরু করবে পুরসভা।”
|
রাজ্য ল’ক্লার্কস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এবং হুগলি রুরাল মেডিক্যাল অ্যাওয়্যারনেস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও শ্রীরামপুরের সঙ্গম-এর পরিচালনায় সম্প্রতি বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয় শ্রীরামপুর আদালত চত্ত্বরে। সাড়ে ছ’শো মানুষ শিবিরে উপস্থিত হন। অন্য দিকে, সম্প্রতি শ্রীরামপুরের মাহেশ কলোনি ২ নম্বর ওয়ার্ডে চৈতন্যদেব হরিসভার ষষ্ঠ বাৎসরিক নামকীর্তন উপলক্ষে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়। দুঃস্থ রোগীদের আর্থিক সাহায্যও করা হয়। |