চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৮ বছর লড়াই চালিয়ে রাজ্য শ্রম দফতরের হস্তক্ষেপে ১১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেন এক মহিলা কর্মচারী। চাকরি সংক্রান্ত বিবাদে সাম্প্রতিক কালে এই রকম অঙ্কের ক্ষতিপূরণের নজির নেই বলেই শ্রম দফতর সূত্রের খবর।
সীমা বসু রায় নামে ওই কর্মচারী একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন ১৯৯৪ সালে। তার পরেই শ্রম দফতরের দ্বারস্থ হন তিনি। বিরোধ নিষ্পত্তি না-হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে শিল্প ট্রাইব্যুনাল এবং সেখান থেকে হাইকোর্টে মামলা হয়। এক সময় বিষয়টি আবার ফিরে আসে ট্রাইব্যুনালে। বকেয়া বেতন মিটিয়ে তাঁকে চাকরিতে পুুনর্বহাল করার পক্ষে ট্রাইব্যুনাল রায় দেয় গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে। কিন্তু ওই সংস্থা সেই নির্দেশ মানতে রাজি না-হওয়ায় ফের শ্রম দফতরের দ্বারস্থ হন সীমাদেবী। শেষ পর্যন্ত শ্রম দফতরের ইএল অ্যান্ড এমডব্লিউ বিভাগের হস্তক্ষেপে সংস্থার কর্তৃপক্ষ সীমাদেবীকে এককালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সীমাদেবীর আইনজীবী সুশীল কুমার কর্মকার জানাচ্ছেন, বিবাদ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে চাকরি থেকে অবশ্য ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন সীমাদেবী। ডেপুটি শ্রম কমিশনার রজত পাল ও অ্যাসিস্ট্যান্ট শ্রম কমিশনার বিতান দে-র উপস্থিতিতে দু’দিন আগে তাঁর হাতে ১১ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিয়েছেন শ্রম কমিশনার অমল রায়চৌধুরী। আইনজীবী সুশীলবাবুর কথায়, “আমি প্রায় ৩০ বছর শিল্প ট্রাইব্যুনালের সঙ্গেই জড়িত। নিষ্পত্তি হিসাবে এত টাকার ক্ষতিপূরণ এর মধ্যে দেখিনি। শ্রম দফতরের ভূমিকাও এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ছিল।” |