সংস্কৃতি যেখানে যেমন...
শিক্ষক দিবস
শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বড়জোড়া হাইস্কুলে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা গান, আবৃত্তি করেন। স্কুলের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ১০ কৃতী পড়ুয়াকে পরেশ চট্টোপাধ্যায় স্মৃতি পুরষ্কার দেওয়া হয়। ওই দিনেই বড়জোড়ারই মালিয়াড়া নবরত্ন ক্লাবের উদ্যোগে রাজনারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠান হয়। যোগ দিয়েছিল স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। এই উপলক্ষে নিতুড়িয়ার সড়বড়ির সম্প্রীতি সদনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নিতুড়িয়া (নতুন) চক্র। যোগ দিয়েছিল এলাকার ৪টি পঞ্চায়েতের প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা। ছিলেন রঘুনাথপুরের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি প্রমুখ। কাশীপুরের জেকেএম গার্লস হাইস্কুলেও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান হয়। কাশীপুরের পঞ্চকোটরাজ হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক রঘুনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে তাঁর রচনা দিয়েই সাজানো হয়েছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরিবেশিত হয়েছে মনসামঙ্গল। আদ্রার নিগম নগর আশ্রম হাইস্কুল, আড়শার পাটট্যাড় প্রাথমিক স্কুল-সহ বিভিন্ন স্কুলে নানা অনুষ্ঠান হয়।

পথনাটক
নারী পাচার ও বাল্য বিবাহ রোধে সচেতনতা তৈরি করতে বিষ্ণুপুরে পথনাটক করল সংলাপ নাট্য গোষ্ঠি। বাল্য বিবাহ রোধে বিষ্ণুপুর যমুনাদাস খেমকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি কর্মশালা হয়। আয়োজন করেছিল বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসন ও মহকুমা তথ্য-সংস্কৃতি দফতর।

মনুজেশ মিত্র
মনুজেশ মিত্রের জন্ম সিউড়িতে। সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স এই কবি পরবর্তীকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করার পর বোলপুর কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। সেই থেকেই তিনি বোলপুরের বাসিন্দা। কবি কবিরুল ইসলামের সহপাঠী মনুজেশবাবু কবিতার মধ্যে শাব্দিক আতিশয্যের বিরোধী। তাঁর বিশ্বাস,
“সত্যিকারের কবিতা কিছু বলে না
শুধু দরজা খুলে দেয়।”

কবি মনুজেশবাবু বলেছেন, “দেশ সাহিত্য পত্রিকায় এক তরুণ কবির সম্প্রতি প্রকাশিত ওই কবিতার মতই আমারও ভাবনার চিত্রকল্প।” তিনি একটি রূপক কবিতায় লিখেছেন,
“শম্পা তুই যখন বড় হবি
তোকে অনেক পুতুল দেখাবো,
হাজার হাজার তারা চলে, নাচে,
তাদের সবার বুকেই আছে রক্ত গোলাপ;
কিন্তু সে গোলাপ ফুটি ফুটি করেও কোনও দিন ফুটলো না।”

বহু লিটিল ম্যাগাজিন অলংকৃত হয়েছে তাঁর কবিতায়। লিখেছেন ৫টি কাব্যগ্রন্থও।

সাহিত্যসভা
সত্তরের দশকে কোটাপুর আশ্রম থেকে সন্তু সেনগুপ্তের সম্পাদনায় প্রকাশিত হত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘দিদিভাই’। নব্বই দশকের শুরু পর্যন্ত এই পত্রিকা বেশ জনপ্রিয় ছিল। তবে নতুন শতকে এই পত্রিকাটির সেই জৌলুস আর নেই। তবে কার্যক্রম থেমে নেই। সন্তুবাবুর বাবা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী গোপিকাবিলাস সেনগুপ্তের নামে তৈরি করা হয়েছে একটি বোর্ড। বিগত ৪ বছর ধরে এই বোর্ডের মাধ্যমে গুণীজনদের সম্মাননা জ্ঞাপন করা হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসাবে গত ১ সেপ্টেম্বর কোটাপুর আশ্রমে অনুষ্ঠিত সাহিত্য সভায় জেলার ৬ জন প্রবীণ সাহিত্যসেবীকে সম্মান জানান হয়।

সতিলাল মুর্মু
আদিবাসী ভাষার দু’টি মাত্র গ্রন্থ প্রকাশ করে ‘সাহিত্য একাডেমি যুব’ পুরস্কার পেয়েছেন সিউড়ির আব্দারপুরের ৩৩ বছরের যুবক সতিলাল মুর্মু। ২০১০ সালে প্রকাশিত ৬০টি কবিতা সম্বলিত কাব্যগ্রন্থ ‘জাগরনে’র জন্য এই পুরস্কার পান তিনি। গত ২৫ শে অগস্ট ভুবনেশ্বরের এক অনুষ্ঠানে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে স্মারকও পেয়েছেন সতিলালবাবু।

কবিতা পাঠ
রক্তকরবী মঞ্চে আবৃত্তির অনুষ্ঠান।
গত শুক্রবার রামপুরহাটের ‘রক্তকরবী পুরমঞ্চে’ অনুষ্ঠিত হল আবৃত্তির অনুষ্ঠান। বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৪০ জন শিল্পী রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ থেকে শুরু করে বর্তমান প্রজন্মের কবিদের কবিতা পাঠ করেন।

নৃত্যনাট্য
‘নটির পূজা’ নৃত্যনাট্য
শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক তথা বিশ্বভারতী পাঠভবনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুপ্রিয় ঠাকুরের নির্দেশনায় গত শুক্রবার লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে মঞ্চস্থ হল রবীন্দ্রনাথের ‘নটির পূজা’। কুশীলবরা প্রত্যেকেই হলেন সুপ্রিয়বাবুর প্রতিষ্ঠিত ‘শিশুতীর্থে’র ৬-১৭ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রী।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.