|
|
|
|
নজরে পঞ্চায়েত নির্বাচন মেদিনীপুরে শিবির তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে রবিবার কর্মীদের নিয়ে শিবির করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল। মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে আয়োজিত এই শিবিরে তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেন, পালাবদলের পর রাজ্যের উন্নয়নে গতি এসেছে। তবে পঞ্চায়েত দখল করতে না-পারলে গ্রামের উন্নয়নে সে ভাবে গতি আসবে না। তাই উন্নয়নের স্বার্থে পঞ্চায়েতগুলিতে ক্ষমতায় আসা জরুরি। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ প্রমুখ। দলের বিধায়কেরাও শিবিরে উপস্থিত ছিলেন। |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
এক সময় পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিএমের ‘লালদুর্গ’ বলেই পরিচিত ছিল। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাশের পূর্ব মেদিনীপুরে ‘পরিবর্তনের হাওয়া’ লেগেছে। জেলা পরিষদের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। তবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ক্ষমতা সিপিএমের হাতেই থেকে গিয়েছে। এ জেলার ২৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে অধিকাংশই তাদের দখলে। এই পরিস্থিতিতে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের দখল নিতে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূল।
এ দিনের শিবিরে পঞ্চায়েত দখল করারই ডাক দেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, এখন থেকেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানো জরুরি। মানুষকে সঙ্গে নিয়েই গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের ক্ষমতায় আসতে হবে।
কেন এই শিবির?
জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎবাবু বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখেই আমাদের এই কর্মসূচি। রাজ্য সরকার বাংলার উন্নয়নে যথাসাধ্য করছে। তবে সিপিএমের দখলে থাকা পঞ্চায়েত উন্নয়নের কাজে অসহযোগিতা করছে। পঞ্চায়েত দখলে এলে গ্রামের আরও উন্নয়ন সম্ভব। কী ভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হবে, দলীয় কর্মীদের তাই জানানো হয়েছে।” রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে মেদিনীপুরের শিবিরে এসেছিলেন পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক জ্যোতির্ময় করও। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনিও মানুষকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় আসার বিষয়টির উপর ‘গুরুত্ব’ দেন। দলীয় কর্মীদের বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিততে হলে এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।” |
|
|
|
|
|