ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ও জেল ফেরত এক স্কুলশিক্ষককে মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সেবাদলের চেয়ারম্যান করায় জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বেজায় চটেছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি, রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। মন্ত্রী বলেন, “আমার জেলায় সেবাদলের চেয়ারম্যান করা হচ্ছে অথচ আমিই জানি না। আমি সেবাদলের প্রদেশের চেয়ারম্যানকে আজকে ফোন করে বলেছি, আপনি ধর্ষণে অভিযুক্তকে চেয়ারম্যান করতে পারেন না। খোকন দাসকে পদ থেকে সরিয়ে দিন। আমি মুকুল রায়কে বলেছি, খোকন দাসকে তৃণমূলের জেলার চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানোর ব্যবস্থা করুন। না হলে জেলায় ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যাবে।” সেবাদলের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান খোকনবাবু শোভানগর হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষক। খোকনবাবু বলেন, “আমাকে যে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছিল তা তৃণমূল সেবাদলের প্রদেশ চেয়ারম্যান সবই জানেন। আমি এখন রক্তদান শিবির নিয়ে ব্যস্ত আছি যা জানার পরে জিজ্ঞাসা করবেন। এখন কিছু বলতে পারব না।” তৃণমূল কংগ্রেস সেবাদলের প্রদেশ চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, “খোকন দাসের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের যে অভিযোগ উঠেছে তা ঠিক নয়। তার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। তাই আমরা ওঁকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সেবাদলের চেয়ারম্যান করেছি। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ বছর আগে মালদহের শোভানগর হাইস্কুলে ইংরেজির শিক্ষক হিসাবে কাজে যোগ দেন খোকনবাবু। ওই স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। পুলিশ গ্রেফতার করার পরে কিছু দিন জেলে ছিলেন। পরে জামিনে মুক্তি পান। হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরিস্বামী দাস বলেন, “স্কুলেরই এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক খোকন দাসকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। ১৭ দিন ওই শিক্ষক জেল হাজতে ছিলেন। সে জন্য ওই শিক্ষক সাসপেন্ড হন। পরে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিনের কাগজ স্কুলে জমা দিয়ে ওই শিক্ষক কাজে যোগ দিয়েছেন।” |