বাসিন্দাদের দাবি মেনে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ হাটে বাসকারীদের দীর্ঘ মেয়াদী লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ দফতরে দীর্ঘমেয়াদী লিজ দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয়। দ্রুত হাট গুলির বাসিন্দাদের তালিকা ভূমি রাজস্ব দফতরের কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রণাধীন হাটের সংখ্যা ৪৯টি। হাট ঘিরে বসতি ও দোকান গড়ে উঠেছে শতাধিক বছর আগে। জমিতে স্থায়ী ভাবে বাস করে কয়েক লক্ষ বাসিন্দাদের এতদিন টাকার বিনিময়ে দশ বছর অন্তর জেলা পরিষদের এলাকায় বসবাস করার লাইসেন্স নিতে হত। বামফ্রন্ট পরিচালিত জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি দীপ্তি দত্ত বলেন, “শীঘ্রই ভূমি রাজস্ব দফতরের কাছে সমস্ত কাগজ পাঠাব। বাসিন্দারা ১০০ বছর ও ব্যবসায়ীদের ৩০ বছরের লিজ প্রথম ধাপে জেলার সব জায়গাতে দেওয়া হবে।” ভূমি রাজস্ব দফতর ও জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদ ১০ বছরের বেশি লিজ দিতে পারে না। সে জন্য ভূমি রাজস্ব দফতরের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। জেলার ভূমি রাজস্ব আধিকারিক তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের কাছে কাগজ পত্র এলে দুই দফতর মিলে সমীক্ষা করা হবে। পরে দীর্ঘ মেয়াদি লিজের জন্য মহাকরণে ভূমি রাজস্ব দফতরে অনুমোদন চেয়ে পাঠানো হবে। তার পরে লিজ দেওয়ার কাজ শুরু করবে জেলা পরিষদ।” কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্য মনি ডারনাল বলেন, “১০ বছরের লিজের কাগজ কাজে লাগছে না। ব্যাঙ্ক ঋণ দিচ্ছে না। বাড়ি তৈরি থেকে বিক্রি করার ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। জেলা পরিষদ অবশেষে উদ্যোগী হওয়ায় আমরা খুশি।” আলিপুরদপুয়ার অভিভাবক মঞ্চ বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ দিন আন্দোলন করে আসছে। নতুন প্রস্তাবে বসত বাড়ির ক্ষত্রে ১০০ বছরের লিজে তাদের আপত্তি না থাকলেও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সমকালীন সময়ের লিজ দেবার দাবি জানিয়েছেন মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু। আলিপুরদুয়ার আদালতের আইনজীবী সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “১০০ বছরের লিজ দিলেও জমির মালিকানা থাকবে জেলা পরিষদের হাতে। সে ক্ষেত্রে ঋণ পেতে অসুবিধা হবে। বাসিন্দাদের চিরকালীন সময়ের জন্য যাতে তারা জমি দিয়ে দেন।” |