পুরসভা ও শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলনের হুমকি দিল সিপিএম। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির অনিল বিশ্বাস ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী তথা সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, পুরসভায় পার্কিং ফি সহ একাধিক বিভাগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসজেডিতে কাজের বরাত দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি বলেন, “প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই দুর্নীতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। কোথা থেকে কে কত টাকা তুলছে তা জানা যাচ্ছে। আর পরিষেবা এবং উন্নয়নের কাজ তলানিতে ঠেকেছে। মন্ত্রী-মেয়র তদায় এড়াতে চাইছেন। এভাবে চলতে পারে না।” এর প্রতিবাদে বামফ্রন্টের তরফে পুরসভা অভিযান করা হবে বলে তিনি জানান। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “পুরসভা আমি চালাই না। আর এসজেডিএ স্বশাসিত সংস্থা। তার পরেও বলছি ওই অভিযোগের মানে হয় না। এসজেডিএ এবং পুরসভাকে তারা কি করে গিয়েছেন তা গোটা শিলিগুড়ির মানুষ জানেন।” শিলিগুড়ি পুসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত ওই অভিযোগের পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। তিনি বলেন, “শুধু অভিযোগ তুললেই হবে না, তা প্রমাণ করে দেখাতে হবে। আমরা চাই অশোকবাবুরা ক্ষমতা থাকলে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করুন। তাঁদের সময়ে কি হয়েছে আমিও সামনে আনব।” এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “বাম আমলে এসজেডিএতে দাদাগিরি চলত। সিন্ডিকেট তৈরি করে কয়েকজন দাদাগিরি করতেন। বাইরের কাউকে টেন্ডার ফেলতে দেওয়া হত না। এখন তার পরিবর্তন হয়েছে। অনলাইনে টেন্ডার নেওয়া হচ্ছে। এই পরিচ্ছন্নতা দেখে ঈর্ষায় নানারকম অভিযোগ তোলা হচ্ছে।” এদিন অশোকবাবু আরও অভিযোগ করেন, আনারস উৎসবকে কেন্দ্র করে এসজেডিএ শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ির জুড়ে ১০০টির উপরে গেট তৈরি করেছে। হোর্ডিং, ফেস্টুন টাঙিয়ে চারদিক ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১ কোটি টাকার উপরে তাতে খরচ হয়েছে। তিনি বলেন, “সরকার বলছে টাকা নেই। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী আসবেন বলে গেটের জন্য ১ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। অথচ এদিকে হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ হচ্ছে না। এসব মানুষ মেনে নেবেন না।” ফেডারেশনের কাপের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে স্টেডিয়াম রঙ করা নিয়ে অশোকবাবু বলেন, “বাম আমলে যে টাকা রাখা হয়েছিল তা থেকেই খরচ হচ্ছে।” এসজেডিএ চেয়ারম্যান বলেন, “অশোকবাবুর কাছে ভুল তথ্য আছে। আমরা কৃষকদের জন্য কাজ করছি, যা বাম আমলে হয়নি। উৎসব থেকে আনারস চাষীরা অনেক লাভবান হচ্ছেন।” সিপিএমের দার্জিলিং জেলা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জীবেশ সরকার জানান, চলতি মাসে পুরসভার কাউন্সিলরস কর্মচারিরা একযোগে আন্দোলনে নামবেন। |