নজরদারি সত্ত্বেও কালোবাজারে সার বিক্রি হচ্ছে— এই অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার হুড়া এলাকায় হানা দিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) হৃষিকেশ মুদি। এ দিন তিনি সরাসরি হুড়া ব্লকের লালপুরে একটি সারের দোকানে হানা দেন। পরে হুড়াতে একটি কৃষি সমবায় সমিতিতেও যান। অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, “বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছিল, জেলার কিছু এলাকায় সার কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। সে খবর পেয়েই এ দিন হুড়াতে আচমকা হানা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।” পাশাপাশি তিনি লালপুরে ওই দোকানের সামনে এক কৃষকের সঙ্গে কথা বলেন।
হৃষিকেশ মুদি তাঁর কাছে সার কেনার কেনার রশিদ দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। দোকানদার তাঁকে রশিদ দেননি বলে ওই কৃষক জানিয়েছেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, “আমি পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে যা দাম নেওয়া উচিত তার চেয়ে বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। এমন কী স্থানীয় একটি সমবায় সমিতির বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ পেয়েছি। কেন তাঁরা অতিরিক্ত দাম কৃষকের কাছ থেকে নিচ্ছেন জানতে চাইলে দোকানদার বা সমবায়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেখান থেকে সার কিনছেন সেখানেই দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে।” |
পাশাপাশি এ দিন কত সার এসেছে, কাকে বিক্রি করা হয়েছে, কত পরিমাণ মজুত রয়েছে তার নথিপত্র দেখতে পাননি বলেও জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। তিনি বলেন, “কৃষকদের জন্য দোকান বা সমবায়কে যে পোস্টার টাঙিয়ে রাখতে বলা হলেও এ দিন দেখা যায়নি।” তিনি জানান, আপাতত যেখানে গরমিল ও অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে তাঁদের শো-কজ করা হবে। হুড়ার বিডিও বিশ্বনাথ রক্ষিত বলেন, “এখানে দু’টি জায়গায় অতিরিক্ত দাম নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। শো-কজের উত্তর পাওয়ার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |