অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র মাঝখানে। তার চারপাশে কোমর সমান জল।
ফলে কোমর সমান জল ডিঙিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা কেন্দ্রে যেতে পাচ্ছেন না। ফলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। বন্ধ শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার কাজও। এই ছবি মানবাজার থানার রাঙাটাঁড় গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের।
এ বছর কোনও ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেনি। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ফি বছর বর্ষায় প্রায় দু’মাস ধরে কেন্দ্রটি বন্ধ থাকে। এমন অবস্থা কেন? অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সত্যবতী মাহাতো বলেন, “আমাদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ভবনটি ধান জমির মাঝখানে। প্রায় বছর কুড়ি আগে এই ক্লাসধর তৈরি হয়। চারপাশ নীচু এলাকা। পাশেই রয়েছে সেচখাল। ফলে বর্ষার সময় জমি বেয়ে বৃষ্টির জল এখানে এসে জমে। খালের জল যতদিন না শুকায়, ততদিন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঢোকা যায় না।” তাঁরা জানান, ভিতরে রান্নার চাল থাকে। জল নামার পরে কেন্দ্র খোলার পরে দেখা যায়, সেই চাল আর রান্না করার উপযুক্ত থাকে না। |
এই কেন্দ্রে ৫০ জন শিশু পড়াশোনা করে। ফলে এলাকার ওই শিশুরাও মাস খানেক ধরে পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শিশু বিকাশ প্রকল্পের ভালুবাসা পঞ্চায়েতের দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজর মঞ্জুশ্রী সিংহ মহাপাত্র বলেন, “ওই কেন্দ্র আমি পরিদর্শন করে এসেছি। এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে।”
ভালুবাসা পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান নরেন কালিন্দী বলেন, “ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অবস্থানগত এই সমস্যা কী ভাবে কাটানো যায়, চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।” মানবাজার শিশু বিকাশ প্রকল্পের সিডিপিও সুভাষ মাহাতো বলেন, “সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে নিয়ে এই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” |